শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

আম জনতার পরামর্শ নিয়েই তৈরি হবে বঙ্গ বিজেপির নির্বাচনী ইস্তাহার

০৯:০৯ এএম, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২১

আম জনতার পরামর্শ নিয়েই তৈরি হবে বঙ্গ বিজেপির নির্বাচনী ইস্তাহার
আম জনতা কী চায়? সে বিষয়ে সরাসরি জনগণের কাছ থেকেই মতামত বা পরামর্শ নিতে চায় বঙ্গ বিজেপি। সাধারণ মানুষের মতামত নিয়ে নির্বাচনী ইস্তেহার তৈরি করতে চায় তারা। বাংলার নির্বাচনী ইস্তেহার তৈরির জন্য সাধারণ মানুষের মতামত পেতে ‘লক্ষ্য সোনার বাংলা’ কর্মসূচির সূচনা করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। কলকাতার হেস্টিংসে বিজেপি দফতর থেকে এই কর্মসূচির সূচনা করেন তিনি। সেই লক্ষ্যে রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রে শনিবার থেকে ছুটবে ২৯৪টি ডিজিটাল মোবাইল ভ্যান বা এলইডি রথ। ৩ থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত রাজ্যের প্রতিটি বিধানসভায় মানুষের কাছে যাবে এলএডি ডিজিটাল রথ। যেখানে সাধারণ মানুষের অভাব-অভিযোগ ও পরামর্শ নেওয়া হবে। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় সাধারণ মানুষকে বিজেপির পরিকল্পনা ডিজিটালে বোঝাবেন বিজেপির নেতারা। এই সব রথে থাকবে ‘পরামর্শদান বাক্স’। যাতে নিবাচনী ইস্তেহার সম্পর্কে সাধারণ মানুষ নিজেদের মতামত জানাতে পারবেন। শুধু তাই নয়, রাজ্যজুড়ে থাকবে এ রকম ৩০০টি বাক্স। মতামত জানানো যাবে মিসড কল এবং হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমেও। আম জনতার সেই পরামর্শ নিয়েই তৈরি হবে বঙ্গ বিজেপির নির্বাচনী ইস্তাহার। রাজ্য নির্বাচণের নির্ঘন্ট বাজতে বাকি আরমাত্র কিছুদিন। আর আসন্ন নির্বাচনে বঙ্গই হল পাখির চোখ বিজেপির কাছে। তা আগেই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন রাজ্যের তথা কেন্দ্রের নেতারা। তাই বারবার রাজ্য সফরে আসছেন জে পি নাড্ডা, অমিত শাহরা। দীর্ঘ বেশকিছু মাস ধরে রাজ্যের পড়ে রয়েছেন কেন্দ্রের একাধিক নেতা ও ভিন্ন রজ্যের মন্ত্রী, নেতারা। বক্তব্য রাখতে গিয়ে নাড্ডা জানিয়েছেন, 'কেন্দ্রের সাহায্যে রাজ্যে ১ কোটি ৪০ লক্ষ শৌচাগার তৈরি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধে গোটা ভারতের পাশাপাশি রাজ্যেও মোট ১ কোটি ৯২ লক্ষ মানুষ জনধন যোজনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলেছে। মমতাদির রাজত্বে বর্তমানে বাংলায় শিল্পের আকাল। রাজ্যের কোনও রিপোর্ট যায়না কেন্দ্রের কাছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যদফতরকে অন্ধকারে রেখেছে রাজ্য। বাংলায় ডেঙ্গি হলে, চিকিৎসকদের হুমকি দিয়ে রিপোর্ট আটকেছেন দিদি। করোনার সময় কেন্দ্রীয় দলকে আটকে রাখা হয়েছে। রিপোর্ট দেওয়া হয়নি। লকডাউনে কেন্দ্রের পাঠানো ত্রাণ তৃণমূল নেতাদের ঘরে গিয়েছে। আমফান দুর্নীতি নিয়ে অডিট করতে বলেছিল কোর্ট। রাজ্য তার বিরোধিতা করেছে।'