শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

‘আমি জানি না ওঁর কী গুরুত্ব রয়েছে?’ তথাগতর কোনও সমালোচনাকেই গুরুত্ব দিতে নারাজ দিলীপ

১০:৪৮ এএম, নভেম্বর ১২, ২০২১

‘আমি জানি না ওঁর কী গুরুত্ব রয়েছে?’ তথাগতর কোনও সমালোচনাকেই গুরুত্ব দিতে নারাজ দিলীপ

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ বিজেপির রাজ্যে নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর সংঘাত ক্রমশ বেড়েই চলেছে। এই সংঘাত মেটার নয় বলে মনে করছেন অনেকেই। ক্রমশ ফাটল আরও চওড়া হচ্ছে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই ক্রমাগত রাজ্য শীর্ষ নেতৃত্বকে বিভিন্ন ইস্যুতে আক্রমণ করে চলেছেন মেঘালয়ের প্রাক্তন রাজ্যপাল তথা বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা তথাগত রায়। দিলীপ ঘোষ, কৈলাস বিজয়বর্গীয়দের ক্রমাগত নিশানা করে চলেছেন তিনি।

এদিকে, অতি সম্প্রতি নারদা প্রসঙ্গ তুলে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করেছেন সুরজিৎ সাহা। যার জেরে দল থেকে বহিষ্কার করেছে হাওড়া সদর বিজেপির সভাপতি সুরজিৎ সাহাকে। সেই একই পথ অনুসরণ করে ক্রমাগত দলকে অস্বস্তিতে ফেলছেন তথাগত রায়। ক্রমাগত শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক টুইট করছেন। তাহলে এবার কি তাঁর বিরুদ্ধেও এমনি কঠোর পদক্ষেপ নেবে দল?

শুক্রবার প্রাতঃভ্রমণকালে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই প্রশ্নের মুখোমুখি হতেই, উত্তর দিলেন  দিলীপ ঘোষ। বিজেপির এই বর্ষীয়ান নেতাকে কোনও গুরুত্ব দিতেই নারাজ বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি। এদিন সুরজিৎ সাহার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘কেউ পদে থেকে, পার্টির দায়িত্ব নিয়ে যদি বিশৃঙ্খলতা করে এবং উল্টোপাল্টা বলে, তবে দলের বেশি ক্ষতি হয়। অনেকে অনেক কিছু বলছে। সমর্থকরা বলছে। তাতে লোকে কেউ বেশি গুরুত্ব দেন না। কিন্তু একজন পদাধিকারী যখন একথা বলছে, তখন দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পদে থেকে বিশৃঙ্খলতা করলে, দল তাঁকে পদ থেকে মুক্ত করবে। যাঁর কোনও পদ নেই তাঁকে কী মুক্ত করবে! আমি জানি না ওঁর কী গুরুত্ব রয়েছে?’

একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকেই দিলীপ, কৈলাশদের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছেন। একের পর এক বিস্ফোরক টুইট করে শীর্ষ নেতৃত্বকে বিঁধছেন। এমনকি বিজেপির সেলেব প্রার্থীদেরও নিশানা করেন তিনি।

https://twitter.com/tathagata2/status/1458660538204909571

বৃহস্পতিবারই ফের টুইটে তথাগত রায় লেখেন, ‘তৃণমূলের এক অগ্রগণ্য ল্যাম্পপোস্ট বলেছেন, ‘এ রাজ্যে বিজেপি কোনো প্রতিপক্ষই নয়। কেন এমন অবস্থা হল তা নিয়ে বিশ্লেষণ, কিন্তু তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ, এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য একটি দুদিনের চিন্তন বৈঠক দরকার। এটি বিজেপির পরম্পরারই অন্তর্গত।গতানুগতিক মিটিং-মিছিল-বনধ করলে হবে না।’ কিন্তু, তথাগত রায়ের কোনও মন্তব্যকেই গুরুত্ব দিতে চাইছেন না বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি। সেটাই তিনি বারবার বুঝিয়ে এসেছেন।