বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪

‘লক্ষ্য একটাই, চলুন পাল্টাই’, নদীয়ার বিষ্ণুপুরের জনসভা থেকে বললেন বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়

০৮:৫৩ এএম, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২১

‘লক্ষ্য একটাই, চলুন পাল্টাই’, নদীয়ার বিষ্ণুপুরের জনসভা থেকে বললেন বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়
নিজস্ব প্রতিবেদনঃ নদীয়াঃ সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। আর এবারের নির্বাচনে রাজনৈতিক দল বিজেপির একমাত্র লক্ষ্য বাংলার শাসনক্ষমতা নিজেদের হাতে নেওয়া। তাই ভোটের আগে, বিজেপি তাঁদের প্রচারে বাংলার মানুষের উদ্দেশ্যে পরিবর্তনের ডাক দিয়েছে। বুধবার বিকালে নদীয়ার চাকদহের বিষ্ণুপুর হাইস্কুলের মাঠে পরিবর্তন যাত্রা উপলক্ষে আয়োজিত এক জনসভায় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল থেকে সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সভায় উপস্থিত হয়ে, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দাগেন। পাশাপাশি তিনি দাবি করেন যে, এবারের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ২০০ আসন পার করবে। এদিন জনসভায় তিনি তৃণমূলের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, ‘খেলা হবে বলে ওরা ধমকচমক দেখাচ্ছে। ভয় পাবেন না, আমরা অনেক ধমকচমক দেখেছিলাম। ২০১০ সালের ধমকচমকের পরে ২০১১ সালে পরিবর্তন হয়েছিল। আর এবার খেলা হবে, ধমকচমক দিয়ে ২০২০ সাল থেকে শুরু হয়েছে। কিন্তু ২০২১ এ দায়িত্ব নিয়ে বলে যাচ্ছি, ভারতীয় জনতা পার্টি সারা পশ্চিমবঙ্গে ২০০ টি আসন পাবে।’ তিন আরও বলেন, ‘আমি দেখছিলাম, তৃণমূলের নেতা-নেত্রীরা বলছিলেন ২৫০ টি আসন পাবে। আমি ভাবছিলাম, কেমন ধাপে ধাপে বাড়ছে দেখুন। প্রথমে বলছিলেন ২১০-২১১ টি আসন, আর এখন ২৫০ টি আসুন। তবে, মানুষ আওয়াজ তুলছে। মানুষের আওয়াজ কী? লক্ষ্য একটাই, চলুন পাল্টাই।’ তিনি বলেন, ‘পরিবর্তন নিয়ে এলে, মানুষ মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে, স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারবে। সকলের হাতে কাজ থাকবে, সেই ব্যবস্থা ভারতীয় জনতা পার্টি করবে।’ এদিন তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করে বলেন যে, ‘তিনি নিজের উন্নয়ন, নিজের পরিবারের উন্নয়ন ছাড়া আর কিছুই ভাবতে পারেননি। তাই যেনতেন প্রকারেণ এই সরকারকে টিকিয়ে রাখতে, ভুরিভুরি প্রকল্প আর অজস্র প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে।’ নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রীর বাজেট পেশেরও তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রীর বাজেট পেশ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, ‘ভোটের আগে বাজেট পেশ করে কী করে রাজ্য সরকার? বাজেট তো পেশ হয়, মার্চ-এপ্রিল মাসে। ২০২১ থেকে মার্চের জন্য বাজেট, যেখানে সরকার থাকবে না, সেখানে সংসদে দাঁড়িয়ে বাজেট পেশ করলেন। আমি মনে করি, এটা রাজ্য বাজেট নয়, নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করলেন। তিনি নিজেও বুঝেছিলেন, ক্ষমতায় থাকবেন না, তাই ভাবলেন, যা বলার বলেনি, যা দেওয়ার দিয়েনি।’ অন্যদিকে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর এক বক্তব্যকে টেনে এনে বলে যে, ‘মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন তিনি ট্রেডমিলে হাঁটতে হাঁটতে এই বাজেট করেছিলেন, তাহলেই ভাবুন, যদি কেউ ট্রেডমিলে হাঁটতে হাঁটতে, ফোন করতে করতে, চা খেতে খেতে করে এই ৩ লক্ষ কোটি টাকার বাজেট করে থাকেন, তাহলে সেই রাজ্যের মানুষের কি দুর্দশা হতে পারে, এর থেকে বড় উদাহরণ আর কিছু হতে পারে বলে আমি মনে করি না। সুতরাং এই রকম দায়িত্বজ্ঞানহীন মানুষকে আগামিদিনে ট্রেডমিলেই হাঁটতে দিন, তাঁর হাতে রাজ্যের শাসনভার তুলে দেবেন না। তাই আগামী দিনে রাজ্যের উন্নয়ন চাইলে, পরিবর্তন আনুন, বিজেপিকে নিয়ে আসুন।’ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতি নিয়েও সরব হন। এদিনের জনসভায় ছিলেন বিজেপির রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক রথীন বোস, সাংসদ জগন্নাথ সরকার, বিজেপি নেতা শীলভদ্র দত্ত, কল্যান চৌবে-সহ অনেকেই।