শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

ভবানীপুরে ত্রাণ বিলি করতে গিয়ে চড় খেলেন রুদ্রনীল! অভিযোগ থানায়, মিথ্যে দাবি বলছে তৃণমূল

০৭:০৮ পিএম, মে ২৮, ২০২১

ভবানীপুরে ত্রাণ বিলি করতে গিয়ে চড় খেলেন রুদ্রনীল! অভিযোগ থানায়, মিথ্যে দাবি বলছে তৃণমূল

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ করোনা অতিমারী আবহে বিজেপি নেতাদের সরাসরি পথে নেমে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছিল বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। তাই অনেক বিজেপি নেতাই সেই নির্দেশ পালন করতে, নেমে পড়েছেন ইতিমধ্যেই। কিন্তু এবার ‘যশ’-এ বিধ্বস্ত এলাকায় ত্রাণ বিলি করতে গিয়েই, সপাটে চড় খেতে হল বিজেপি নেতা তথা অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষকে। তেমনই অভিযোগ করেছেন এই বিজেপি নেতা।

গোটা দেশ করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত। বাংলাও এর ব্যতিক্রম নয়। তাই এই পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে দাঁড়াতে অনেক নেতা-নেত্রীই নিজের মতো করে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। এর উপর ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’-এর দাপট। তাই মানুষের পাশে দাঁড়াতে রুদ্রনীল পৌঁছে গিয়েছিলেন ভবানীপুর বিধানসভা এলাকায়। সেখানে ত্রাণ বিলি করতে গিয়েই আক্রমণের মুখে পড়লেন বিজেপির এই নেতা। তাঁকে চড় মারা হয়েছে। শুক্রবার এমনই দাবি করেছেন অভিনেতা তথা এবারের বিধানসভা ভোটে বিজেপি প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষ। উল্লেখ্য, এই বিধানসভায় তিনি তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের কাছে পরাজিত হন। শুক্রবার রুদ্রনীল জানান যে, ৭১ নম্বর ওয়ার্ডে ত্রাণ বিলি করতে গিয়ে, তিনি তৃণমূলের হামলার শিকার হয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে কালীঘাট থানায় অভিযোগও অভিযোগও করেছেন তিনি। তৃণমূল অবশ্য দাবি করছে, রুদ্রনীলের এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে।

আজকের ঘটনার বিষয়ে রুদ্রনীল জানিয়েছেন যে, ‘আমি কয়েকজনকে নিয়ে ত্রাণবিলির কাজ করছিলাম। প্রায় ৩০০ পরিবারকে ত্রাণ দেওয়ার পর ৭১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল নেতা বাবলু সিংহ দলবল নিয়ে আমার উপরে হামলা করে। আমাকে চড়-থাপ্পড় মারতে থাকে। আমার সঙ্গীদেরও মারা হয়েছে। ত্রাণের গাড়িটিও আটকে রাখার চেষ্টা হয়।’

রুদ্রনীলের এই অভিযোগ প্রসঙ্গে তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, তাঁর বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যে। তাঁর উপর কোনও হামলাই হয়নি। তৃণমূলের প্রথম সারির এক নেতার কথায়, ‘উনি তো অভিনেতা। তাই ভোটে হেরে গিয়ে, এখন অভিনয়ের আশ্রয় নিয়েছেন! কেন কেউ ওঁকে শুধু শুধু চড় মারতে যাবে!’

বিজেপি নেতা রুদ্রনীলের মূলত যার সম্পর্কে অভিযোগ, সেই বাবলুও বলেন, ‘ওঁকে শুধু প্রশ্ন করেছিলাম, ত্রাণ বিলির প্রশাসনিক অনুমতি আছে কিনা! তাতেই উনি রেগে যান। সামান্য তর্কাতর্কি হয়। ব্যস এইটুকুই।’ উল্লেখ্য, সদ্য মেটা বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুর আসনে বিজেপি-র প্রার্থী হয়েছিলেন রুদ্রনীল। হেরে গিয়েছেন। কিন্তু অভিনেতার দাবি, হেরে গেলেও, তিনি ভবানীপুরের মানুষের পাশে থাকতে চান সবসময়, সব পরিস্থিতিতে।

রুদ্রনীল বলেন, ‘ওই এলকায় ইয়াস ঘূর্ণিঝড়ের পরে প্লাবনে বহু মানুষ বিপদে। সেই সব দুর্গত মানুষকে ত্রাণ পৌঁছে দিতে গিয়েছিলাম। মোট ৫০০ পরিবারকে ত্রাণ দেব ঠিক করেছিলাম। কিন্তু সেটা পারলাম না।’ রুদ্রনীল আরও দাবি, তৃণমূল নেতা বাবলু সিংহ ত্রাণে বাধা দেওয়ার পাশাপাশি তাঁকে বলেছেন যে, বিজেপি-কে আসতে হবে না! তারাই শুধু ত্রাণ দেবে। তবে, রুদ্রনীলের ওই দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যে বলে উড়িয়ে দিয়ে, তৃণমূলের অভিযুক্ত নেতা বাবলু জানিয়েছেন, মারপিটের ঘটনা সম্পূর্ণ বিজেপি নেতার কল্পিত। তাছাড়া ভবানীপুরে ঘূর্ণিঝড়ে কোনও ক্ষতিই হয়নি! রুদ্রনীল ত্রাণ বিলি করছেন দেখে, তিনি শুধু জানতে চেয়েছিলেন, এ সবের কী দরকার? তাছাড়া এর জন্য প্রশাসনিক অনুমতি আছে কিনা? বাব্এলুর দাবি, একজন সহ নাগরিক হিসেবে করা তাঁর এই প্রশ্নেই রুদ্রনীল রেগে যান।

প্রশ্ন করার অধিকার নিয়েই প্রশ্ন তোলেন। এনিয়ে তাঁদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরপরই পুলিশ আসে সেখানে। তারপর বাবুল সিং সেখান থেকে বাড়ি ফিরে যান। এরপর কী হয়েছে বা রুদ্রনীল কোথায় গিয়েছিলেন, তিনি কিছুই জানেন না বলে দাবি করেছেন।