শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

'প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সম্মান ধুলোয় মিশিয়েছেন'! ফের বিস্ফোরক টুইট তথাগত রায়ের!

০৪:০৯ পিএম, মে ৬, ২০২১

'প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সম্মান ধুলোয় মিশিয়েছেন'! ফের বিস্ফোরক টুইট তথাগত রায়ের!

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলার শাসনক্ষমতা দখল করতে সব শক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল বিজেপি। রাজ্যে এসে লাগাতার প্রচার চালিয়ে গিয়েছেন অমিত শাহ, জেপি নাড্ডারা। এমনকী, বাদ যাননি খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। কিন্তু বঙ্গজয়ের লক্ষ্যে হাজারও প্রচার, স্ট্র্যাটেজি তৈরি করার পরেও তাঁদের উদ্দেশ সফল হয়নি। নির্বাচনে হেরেছে বিজেপি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথও নিয়ে নিয়েছেন।

এদিকে এই পরিস্থিতিতে বিজেপির হারের প্রসঙ্গে একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য করে চলেছেন বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা তথাগত বসু। বিতর্কিত মন্তব্য করে খবরের শিরোনামে থাকা তাঁর কাছে নতুন কোনও বিষয় নয়। একুশে বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির হারের পর, দলীয় শীর্ষ নেতৃত্বকে তীব্র ভাষায় এবং নজিরবিহীনভাবে আক্রমণ করেছেন বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা তথাগত রায়। বিজেপির তারকা প্রার্থীদের হার প্রসঙ্গে তিনি দলের রাজ্য নেতৃত্বের উদ্দেশে প্রশ্ন তুলেছেন। এই প্রশ্ন তুলে তিনি টুইট করেছেন। যে টুইট ঘিরে ইতিমধ্যেই প্রচুর জলঘোলা হয়েছে।

তারপরও ফের একবার বিতর্কিত টুইট করে কৈলাস, দিলীপ, শিবপ্রকাশদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন তথাগত রায়। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে দলের এই বিপর্যয়ের জন্য তিনি কৈলাস, দিলীপ, শিবপ্রকাশদের দায়ী করেছেন সরাসরি। শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অসম্মানিত করা হয়েছে, এই মর্মে তথাগত রায় দোষীর কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন রাজ্য বিজেপির চার নেতাকে। সেই তালিকায় রয়েছেন দিলীপ ঘোষ, কৈলাস বিজয়বর্গীয়, শিবপ্রকাশ, অরবিন্দ মেননের নাম। উল্লেখ্য, এইসব টুইটের জেরে এদিনই তাঁকে দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতাদের পক্ষ থেকে।

বর্ষীয়ান এই বিজেপি নেতা একসঙ্গে অনেকগুলি অভিযোগ করেছেন টুইটারে। এরমধ্যে আত্মসমালোচনা, কখনও তৃণমূলত্যাগীদের নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করা, প্রভৃতি নানা অভিযোগ রয়েছে একের পর এক। একটি ট্যুইটে তিনি লিখেছন, ‘কৈলাস, দিলীপ, শিবপ্রকাশ, অরবিন্দ-এই চারমাথায় প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সম্মান ধুলোয় মিশিয়েছে। এবং বিশ্বের সবচেয়ে বড় দলের নাম খারাপ করেছেন। হেস্টিংসের শীর্ষে এবং সাততারা হোটেলে বসে তাঁরা তৃণমূলের আবর্জনাদের মধ্যে টিকিট বাঁটোয়ারা করেছেন। এখন দলীয় কর্মীদের তোপ থেকে বাঁচতে তাঁরা সেখানেই বসে আছেন। ভাবছেন এই ঝড় চলে যাবে।’

https://twitter.com/tathagata2/status/1390148100023406593

উল্লেখ্য, ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছেন প্রায় ৪৬ জন। এর মধ্যেই ভোটের ফল অনুযায়ী, মুকুল রায়কে বাদ দিলে জয়ী হয়েছেন মাত্র দুইজন, তাঁরা শুভেন্দু অধিকারী ও মলয় ঘটক। তথাগতর ক্ষোভ পরাজিত তৃণমূল-ত্যাগী নব্য বিজেপিদের নিয়েই বেশি। তিনি মন্তব্য করেছেন যে, ‘একঝাঁক নিম্নমানের অদূরদর্শী মানুষ যাদের কোনও রাজনৈতিক বোঝাপড়া নেই, অষ্টম শ্রেণি পাশ তাদের থেকে কি প্রত্যাশা করা হবে?’

তিনি এও মনে করেন যে, কেন্দ্রীয় নেতাদের সঠিক দিশা দেখাতেই পারেনি, রাজ্য নেতৃত্ব। তথাগত রায় মনে করেন যে, এই ঘটনার ফলে দুটি গোষ্ঠী দল ছা়ড়বে। এর মধ্যে একদল হচ্ছেন তৃণমূল থেকে হঠাৎ আসারা, অন্যেরা হলেন বিজেপির পুরনো কার্যকর্তারা, যদি না তাঁদের নতুন পথের সন্ধান দেওয়া যায়।