শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

একমাস ধরে মর্গে পড়ে থাকার পর, অবশেষে শনাক্ত হল নিখোঁজ পুলিশ আধিকারিকের দেহ!

০৮:২৯ পিএম, নভেম্বর ২৬, ২০২১

একমাস ধরে মর্গে পড়ে থাকার পর, অবশেষে শনাক্ত হল নিখোঁজ পুলিশ আধিকারিকের দেহ!

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ প্রায় দেড় মাস ধরে নিখোঁজ ছিলেন। তার উপর এক মাস ধরে মর্গে পড়েছিল শনাক্ত না হওয়া একজনের দেহ। শেষে সেই শনাক্ত না হওয়া দেহকেই শনাক্ত করলেন নিখোঁজ ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা।

এই গোটা ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে যেমন, ঠিক তেমনই চাঞ্চল্যও ছড়িয়েছে। কেন? কারণ যে মৃত ব্যক্তির দেহ শনাক্ত করা হয়েছে, তিনি বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের অধীনে থাকা রাজারহাট  থানার সাব ইনস্পেক্টর পার্থ চৌধুরী, বয়স ৪৬ বছর। একজন পুলিশ আধিকারিক দেড় মাস ধরে নিখোঁজ থাকলেন, অথচ পুলিশ কেন তাঁর কোনও সন্ধান পেল না? পাশাপাশি এও প্রশ্ন উঠছে যে, নিখোঁজ হওয়ার পর জাকে শনাক্ত করা যায়নি, তাঁকে ১ মাস পরে কীসের ভিত্তিতে শনাক্ত করা হল?

জানা গিয়েছে, ওই পুলিশ আধিকারিকের নাম পার্থ চৌধুরী। বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের অন্তর্গত রাজারহাট থানায় কর্মরত ছিলেন তিনি। স্ত্রী ও ছেলে নিয়ে থাকতেন হাওড়ার বেলুড়ের একটি আবাসনে। চুঁচুড়ার রবীন্দ্রনগরে থাকেন মা ও ভাই। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, দুর্গাপুজোর ষষ্ঠীর দিন বেলুড়ের বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন পার্থ, আর ফেরেননি। তখন বেলুড় থানায় নিখোঁজ ডায়েরিও করেছিলেন ওই পুলিশ আধিকারিকের ভাই।

এরপর ২০ অক্টোবর বালি ব্রিজের কাছে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির দেহ পড়তে থাকতে দেখা যায়। বালি থানার পুলিস যখন উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়, তখন ওই ব্যক্তিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। ময়নাতদন্তের পর দেহটি পাঠিয়ে দেওয়া হয় হাওড়া পুলিশের মর্গে। এতদিন দেহ সেখানেই পড়েছিল। কীভাবে মৃতের পরিচয় জানা গেল? সম্প্রতি পার্থ চৌধুরীর নামে নিখোঁজ ডায়েরি নজরে আসে পুলিশ। এরপরই দেখা যায়, বালি ব্রিজ থেকে যে দেহটি উদ্ধার হয়েছিল, সেটি রাজারহাট থানার নিখোঁজ পুলিশ আধিকারিকের! খবর দেওয়া হয় তাঁর পরিবারের লোকেদের। এদিন হাওড়ার পুলিশ মর্গে গিয়ে দেহটি শনাক্ত করেন তাঁরা।

এদিকে, পার্থবাবুর ভাই শুভময়  চৌধুরী অভিযোগ করেছেন, পুলিশ প্রথম থেকেই বিষয়টিতে গুরুত্ব দেয়নি।  দেখলে এই অবস্থা হত না।  পার্থ চৌধুরী কীভাবে মারা গিয়েছেন, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।