বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

কোভিড ওষুধের জোগান দিয়ে বিপত্তিতে সোনু সুদ! অভিনেতার বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ বম্বে হাইকোর্টের

০৩:০৪ পিএম, জুন ১৭, ২০২১

কোভিড ওষুধের জোগান দিয়ে বিপত্তিতে সোনু সুদ! অভিনেতার বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ বম্বে হাইকোর্টের

কোভিড ওষুধের জোগান দিয়ে বিপত্তিতে পড়লেন অভিনেতা সোনু সুদ। মাত্র একটা ফোন কল বা সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা মেসেজ করলেই কোভিড আক্রান্তদের কাছে পথ্যসহ ওষুধ পত্র পাঠিয়ে দিয়ে সহায়তা করছেন সোনু এবং মহারাষ্ট্রের বিধায়ক জীসান সিদ্দিকী। এবার তাঁদের বিরুদ্ধেই পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ জারি করল বম্বে হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতের দাবী, "এই ব্যক্তিরা নিজের মসিহা মনে করছেন। যাচাই না করেই ওষুধ পাঠাচ্ছেন।"

মহারাষ্ট্রে কোভিড ব্যবস্থাপনায় ত্রুটির অভিযোগ তুলে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। ওই মামলার শুনানিতেই মহারাষ্ট্র সরকারকে এমন নির্দেশ দিল বম্বে হাইকোর্ট। উল্লেখ্য, কোভিড আক্রান্তদের রেমডিসিভির দিয়ে বিশেষ সাহায্য করছেন সোনু সুদ। সে প্রসঙ্গে মহারাষ্ট্র সরকার আদালতে জানায়, সেগুলি লাইফ লাইন মেডিকেয়ার হাসপাতালের একটি দোকান থেকে কেনা হচ্ছে। তা সরকারের বরাদ্দের বাইরে। এ নিয়ে এখনও তদন্ত হয়নি।

[caption id="attachment_19015" align="alignnone" width="1200"]কোভিড ওষুধের জোগান দিয়ে বিপত্তিতে সোনু সুদ! অভিনেতার বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ বম্বে হাইকোর্টের কোভিড ওষুধের জোগান দিয়ে বিপত্তিতে সোনু সুদ! অভিনেতার বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ বম্বে হাইকোর্টের[/caption]

অন্যদিকে, আদালতের বিচারপতি সুনীল পি দেশমুখ ও বিচারপতি গিরিশ এস কুলকার্নির ডিভিশন বেঞ্চের বক্তব্য, "এই ধরনের রাজনীতিক ও সেলেব্রিটি ব্যক্তিরা সমাজের কাছে নিজেদের মসিহা হিসেবে তুলে ধরছেন। ওষুধগুলি ভেজাল কিনা অথবা বেআইনিভাবে বণ্টন করা হচ্ছে কিনা, তা যাচাই করছেন না।" এরপরই আদালতের তরফে মহারাষ্ট্র সরকারকে ওই দুজনের ভূমিকা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ দিন মহারাষ্ট্র সরকারের আইনজীবী আশুতোষ কুম্ভাকোনিকে আদালত জানায়, "সোশ্যাল মিডিয়ায় আমি তোমাকে সাহায্য করছি বলা খুব সহজ। কিন্তু তা ঠিক নয়৷ জনসাধারণের কাছে এতে ভুল বার্তা যাবে। করোনা পরিস্থিতির সামাল দিতে সরকারপক্ষ থেকে সবরকম চেষ্টা করা হচ্ছে। তারপরেও সমান্তরালভাবে নানা এজেন্সি চলছে। তাঁদের ভূমিকার খতিয়ে দেখার দায়িত্ব আপনাদের ওপর ছেড়ে দিচ্ছি।"

মহারাষ্ট্রের বিধায়ক জীসান সিদ্দিকী প্রসঙ্গে মহারাষ্ট্র সরকারের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জেনারেল আশুতোষ কুম্ভাকোনি জানিয়েছেন, "বিডিআর ফাউন্ডেশন নামে একটি সংস্থার মাধ্যমে ওষুধ ও সাহায্য পৌঁছে দেন সিদ্দিকী। ওই সংস্থা নথিভুক্ত নেই। সরকার থেকে ওষুধ দেওয়ার অনুমোদনও দেওয়া হয়নি। ওই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই ফৌজদারি মামলা করেছে মহারাষ্ট্র সরকার। তবে সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে মামলা হয়নি। কারণ তিনি শুধু উপদেশ দিয়েছেন। যা ভুল কিছু নয়। তবে তাঁর ভূমিকা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।"