বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

সীমান্তে নজরদারি বাড়াচ্ছে বিএসএফ, বসানো হচ্ছে সিসিটিভি

০৯:৫৪ পিএম, মার্চ ১৪, ২০২১

সীমান্তে নজরদারি বাড়াচ্ছে বিএসএফ, বসানো হচ্ছে সিসিটিভি

শিয়রে বিধানসভা ভোট। তাই সীমান্তে নজরদারি বাড়াচ্ছে বিএসএফ। বর্তমান পরিস্থিতিতে নদিয়া জেলার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের সব জায়গায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে । সন্দেহজনক এলাকায় লাগানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। নাইট ভিশন ক্যামেরায় চলছে নজরদারি।

বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে নদিয়া জেলার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের সব জায়গায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। বিষ্টুগঞ্জ গ্রামে ভারতীয় ভূখণ্ডে কাঁটাতারের ওপারে ৭১টি পরিবার বসবাস করে, সেখানকার বাসিন্দাদের পরিচয়পত্র জমা রেখে নির্দিষ্ট সময়ে যাতায়াত করতে হয়। সেই সময় বিএসএফের নজরদারি এড়িয়ে যাতে কেউ এপার- ওপার করতে না পারে, সেদিকে নজর দেওয়া হচ্ছে। অনেক সময় দেখা যায়, সীমান্তে জওয়ানরা নামমাত্র তল্লাশি করে ছেড়ে দেন। সেই সব দিক বিবেচনা করে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। যার সমস্তটাই অপারেট করা হচ্ছে বিষ্টুগঞ্জ বিএসএফ ক্যাম্প থেকে। পর্যায়ক্রমে ধীরে ধীরে সমস্ত জায়গায় ক্যামেরা বসানো হবে বলে জানা গিয়েছে।

এই প্রসঙ্গে তেহট্ট সীমান্তের বাসিন্দারা বলেন, বর্ডার এলাকায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানদের নজরদারি আগের থেকে বেড়ে গিয়েছে। কাঁটাতারের ওপারে চাষের কাজ করতে গেলে ভোটার বা আধার কার্ড জমা রাখার পরে দেহ তল্লাশি করা হচ্ছে। দেশের নিরাপত্তার কারণে বিএসএফের এই কড়াকড়ির প্রয়োজন আছে। তা না হলে বাংলাদেশ হয়ে কোনও জঙ্গি সীমান্ত পার হয়ে এদেশে চলে এসে নাশকতা ঘটাতে পারে। তাতে দেশের বিপদ বাড়বে। সীমান্ত এলাকার অন্যান্যরাও একই কথা বলছেন। তাঁদের কথায়, এখন সীমান্তে যেরকম নজরদারি চলছে, এই সময় সীমান্ত দিয়েও কোনও বাংলাদেশি বা জঙ্গি কাঁটাতারের ধারে কাছে ঘেঁষতে পারবে না। রাতদিন সীমান্তে অতিরিক্ত নজরদারি চালানো হচ্ছে।

বেতাই-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সঞ্জিত পোদ্দার বলেন, সীমান্তে সিসি ক্যামেরা লাগানো বিএসএফের একটি ভালো উদ্যোগ, এর ফলে চোরাচালান যেমন বন্ধ হবে তেমনই কোনও ভিনদেশীরা নজর এড়িয়ে ভারতে ঢুকে নাশকতা চালাতে পারবে না। এই ক্যামেরার নজরদারি আমাদের এবং দেশের সকলের নিরাপত্তার জন্য ভালো উদ্যোগ।

বিষ্টুগঞ্জ বিএসএফ ক্যাম্পের অ্যাসিস্ট্যান্ট কোম্পানি কমান্ডার ধর্মেন্দ্র ত্রিপাঠী জানান, আসন্ন বিধানসভা ভোট উপলক্ষে সীমান্তে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তেও কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে। এত নিরাপত্তা সত্ত্বেও যাতে কেউ কোনওভাবেই সীমান্ত পেরিয়ে এদেশে আসতে না পারে, তা দেখার জন্য সীমান্তে বাড়তি সতর্ক ও নজর রাখতে বলা হয়েছে জওয়ানদের।