কমতে চলেছে ভোজ্য তেলের দাম! উৎপাদক সংস্থাগুলিকে নির্দেশ কেন্দ্রীয় খাদ্য মন্ত্রকের

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ক্রমশ দ্রুত গতিতে কমছে ডলার পিছু টাকার দাম। এদিকে, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধিতে নাজেহাল মানুষ। এর মধ্যে আবার ফের একবার মধ্যবিত্তের হেঁশেলে বড় আঘাত। বুধবার অর্থাৎ আজ থেকে ফের একবার মধ্যবিত্তের কপালে চিন্তার ভাঁজ আরও স্পষ্ট করল এলপিজি সিলিন্ডারের দাম। একধাক্কায় ফের অনেকটাই বাড়ল রান্নার গ্যাসের দাম। গার্হস্থ্য এলপিজি সিলিন্ডারের দাম বেড়েছে ৫০ টাকা। এদিকে, সম্প্রতি জিএসটি পরিষদের নির্দেশে প্যাকেটজাত চাল, আটা, মুড়ির মতোই প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় জিনিসের উপরেও নতুন করে কর বসছে। এই পরিস্থিতিতে কিছুটা স্বস্তি মিলল কেন্দ্রের নয়া নির্দেশিকায়। 

ভোজ্য তেল উৎপাদক সংস্থাগুলিকে লিটার প্রতি ১০ টাকা দাম (সর্বোচ্চ বিক্রয় মূল্য) কমানোর নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় খাদ্য মন্ত্রক। এখানেই শেষ নয়, কোম্পানিগুলিকে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, দেশজুড়ে ভোজ্য তেলের দাম একই রাখতে হবে এবার থেকে। 

উল্লেখ্য, গত মাসেই একাধিক উৎপাদক সংস্থা, তাদের ভোজ্য তেলের দাম লিটার প্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত কমিয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্য তেলের দাম আরও কিছুটা কমেছে। এই পরিস্থিতিতে বুধবার ভোজ্য তেল উৎপাদক সংস্থাগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসে কেন্দ্রীয় খাদ্য মন্ত্রক। সেই বৈঠকেই সংস্থাগুলিকে তেলের দাম প্রতি লিটারে ১০ টাকা করে কমাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে। 

এখানেই শেষ নয়, সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে আরও জানা গিয়েছে যে, উৎপাদক সংস্থাগুলির সঙ্গে আজকের বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় খাদ্য মন্ত্রকের সচিব ঘোষণা করেছেন, দাম কমানোর সঙ্গে সঙ্গে একই ব্র্যান্ডের ভোজ্য তেলের দাম দেশব্যাপী একই রাখতে হবে এরপর থেকে। 

কেন্দ্রের এই নির্দেশিকা আমজনতার জন্য স্বাতিদায়ক হলেও, মাত্র কয়েকদিন আগেই জিএসটি সুপারিশের ভিত্তিতে প্যাকেটবন্দি এবং সংস্থার লেবেল সাঁটা দই, লস্যি, পনির, চাল, ডাল, আটা, গুড়, মধু, মুড়ি, মাছ এবং মাংসের মতো পণ্যের উপরে বসানো হয়েছে ৫ শতাংশ হারে জিএসটি। শুধু তাই নয়, ব্যাঙ্কের চেকবই সংগ্রহ করতে গেলেও গ্রাহককে দিতে হবে কর। সেক্ষেত্রে ১৮ শতাংশ জিএসটি বসানো হয়েছে। 

অন্যদিকে, হোটেলের ১০০০ টাকার কম ঘর ভাড়ার উপরেও ১২ শতাংশ কর বসানোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। আবার হাসপাতালের আইসিইউ বাদে অন্য যেসব কক্ষের ভাড়া ৫০০০ টাকার উপরে, সেগুলির ক্ষেত্রেও ৫ শতাংশ হারে জিএসটি বসানো হয়েছে। যদিও আগের মতোই ছাড় পাবে যেসব পণ্যে লেবেলড ব্র্যান্ড নেম নেই।