বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভারতের রেল ব্যবস্থা গতিশীলতার এক নয়া যুগে প্রবেশ করেছে। রাজধানী এক্সপ্রেস ট্রেনের পরে, সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত এই বন্দে ভারত এক্সপ্রেস গতি এবং আরও ভাল পরিষেবার ক্ষেত্রে বড় পরিবর্তন এনেছে। এই ট্রেনটি তার দ্রুততার জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। বন্দে ভারত সর্ব্বোচ্চ ১৬০-১৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টাইয় ছুটে চলে। এই ট্রেনের ভ্রমণে সময়ের অনেক সাশ্রয় হয়। যাত্রার সময় ২৫ থেকে ৪৫ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। ট্রেনটিতে উন্নত মানের যাত্রী সুবিধা রয়েছে। নীল এবং সাদা রঙের ট্রেনটি দেখতেও বেশ চমৎকার। বন্দে ভারতের আধুনিক রূপ একে দেশে বিশেষ পরিচিতিও দিয়েছে।
কেন্দ্রের মোদী সরকারের ২২- এর বাজেটে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ঘোষণা করেছিলেন যে, আগামী তিন বছরের মধ্যে ৪০০ টি নতুন প্রজন্মের বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন নির্মাণ করা হবে। আশা করা হচ্ছে যে, আসন্ন বাজেটে, স্লিপার ক্লাস-সহ নতুন বন্দে ভারত ট্রেন এবং বিন্দে ভারত ২.০ এর জন্য আরও অর্থ বরাদ্দ করা হবে কেন্দ্রীয় অর্থ তহবিল থেকে।
‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ অভিযানের দিকে ভারত সরকারের প্রচেষ্টার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে, রেলওয়ের প্রথম দেশীয় সেমি হাইস্পিড ট্রেন বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালু করা হয়েছে। গতি, নিরাপত্তা এবং পরিষেবা এই ট্রেনের তিনটি প্রধান বৈশিষ্ট্য। এটি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আত্মনির্ভর ভারত দর্শনকে বাস্তবায়িত করার ক্ষেত্রে বড় মাইলফলক। এদিকে, লাল কেল্লা থেকে তার স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে ১৫ আগস্ট ২০২১-এ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, ‘ভারতীয় রেলওয়ে দ্রুত তার আধুনিক অবতারের সাথে খাপ খাইয়ে নিচ্ছে। স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবের এই ৭৫ সপ্তাহে, ৭৫টি বন্দে ভারত ট্রেন দেশের প্রতিটি কোণায় কোণায় সংযোগ স্থাপন করবে।’
উল্লেখ্য, বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনটি ট্রেন ১৮ নামেও পরিচিত। এটি চেন্নাই-ভিত্তিক ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরিতে ১৮ মাসের মধ্যে তৈরি করা হয়েছে। ট্রেনটির বৈশ্বিক রেল ব্যবসায় একটি গেম চেঞ্জার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ এটি বিশ্বমানের হওয়া সত্বেও অন্যান্য একই ধরনের ট্রেনের তুলনায় অর্ধেকেরও কম খরচে নির্মান করা যায়৷
এই মুহূর্তে, আটটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস দেশের বিভিন্ন রুটে চলাচল করছে। প্রথম বন্দে ভারত ট্রেনটি ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯-এ চালু হয়েছিল, নতুন দিল্লি এবং বারাণসীকে সংযুক্ত করেছিল এই ট্রেন। এই সেমি হাইস্পিড ট্রেনগুলি এখন অবধি ২৩ লক্ষ কিলোমিটারের ক্রমবর্ধমান দূরত্ব কভার করেছে। এই ট্রেনগুলিতে এখনও পর্যন্ত ৪০ লক্ষের বেশি যাত্রী ভ্রমণ করেছেন।
অন্যদিকে, রেলওয়ে স্লিপার বার্থ-সহ বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন চালু করার প্রস্তাব নিয়ে কাজ করছে। যাত্রীরা যাতে আরামে বার্থে উঠতে এবং নামতে পারেন, স্লিপার কোচের জন্য উপযুক্ত হ্যান্ডহোল্ড এবং মই সরবরাহ করা হবে। একটি বিবৃতিতে রেলওয়ে জানিয়েছে, ‘মই এবং হ্যান্ডহোল্ডের আর্গোনমিক ডিজাইনের জন্য ভারতীয় নৃতাত্ত্বিক ডেটা ব্যবহার করা হবে।’
আপনার মতামত লিখুন :