বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

‘পচা কুকুর বাড়ির সামনে ফেলে আসব'! প্রচার সভা থেকে মন্তব্য মমতার

০৯:০৬ পিএম, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২১

‘পচা কুকুর বাড়ির সামনে ফেলে আসব'! প্রচার সভা থেকে মন্তব্য মমতার

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ গতকালই মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী মানস সাহার মৃতদেহ নিয়ে কালীঘাটে মমতার বাড়ির অদূরে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল বিজেপি। গতকাল মৃত বিজেপি নেতার দেহ নিয়ে মিছিল চলাকালীন তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি থেকে কিছু দুরেই। রাস্তার উপর বসে পথ অবরোধ শুরু করেন বিজেপির নয়া রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এছাড়াও ছিলেন, অর্জুন সিং, ভবানীপুরের উপনির্বাচনে প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। এই বিক্ষোভের জেরে, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে হাজির হয় পুলিশের বিশাল বাহিনী। যান আইপিএস আকাশ মেঘারিয়াও। এই বিক্ষোভ ঘটনার জেরে তীব্র যানজট তৈরি হয় এলাকায়। বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হয় যে, মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী মানস সাহার মৃতদেহের দখল নেওয়ার চেষ্টা করছিল। তাই অশান্তি তৈরি হয়।

সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এবার মুখ খুললেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই ঘটনায় এদিন শুক্রবার ভবানীপুরের নির্বাচনী প্রচারে তৃণমূল নেত্রী দাবি করলেন, মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী মানস সাহার ভোট পরবর্তী হিংসায় মৃত্যু হয়নি। এদিন তিনি বলেন যে, ‘একটি ছেলে মারা গিয়েছে। নির্বাচনের সময় একটা ঘটনা ঘটেছিল। ভালো হয়ে গিয়েছিল। পরে সার্জারি হয়েছিল। সেই সার্জারিতে মারা গিয়েছে। যে কোনও মৃত্যুই দুঃখজনক।’

এরপরই প্রার্থীর মৃতদেহ নিয়ে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের বিক্ষোভ নিয়েও পদ্ম শিবিরকে একহাত নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘আমার বাড়ির কাছে ডেডবডি নিয়ে ঢুকছে। কত বড় ক্ষমতা বুঝুন! একটা করে কান মুলে দিলে পালিয়ে যাবে। কোনও ক্ষমতা নেই। খালি বড় বড় কথা আর ভাষণ! তোমার বাড়ির সামনে যদি পাঠিয়ে দিই একটা কুকুরের ডেডবডি। মেশিনারি আমার নেই? পচা কুকুর তোমার বাড়ির সামনে ফেলে আসব। গন্ধে দশদিন খেতে পাবে না তুমি। বদমাইশি করতে চাইলে কী না করা যায়! এত পাশবিক! এত দানবিক!’

এর পাশাপাশি বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলির আইনশৃঙ্খলা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, ‘কাল অসমে কী করেছে! কত লোককে এনআরসি-র নামে খুন করেছে। ফায়ারিং করে খুন করে ডেডবডির উপরে নাচছো! লজ্জা করে না। আর বাংলার মানবাধিকার নিয়ে প্রশ্ন করছো। আজও দিল্লিতে কোর্টে তিন জন মারা গিয়েছে গুলিতে। ইউপি-তে কোনও আইন আছে! না বিহারে কোনও আইন আছে! বিজেপি শাসিত রাজ্যে কোনও আইন নেই।’

তৃণমূল নেত্রী রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগও উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘হিংসায় উন্মত্ত বিজেপি। প্রতিদিন গুন্ডামি করছে। নিজের বাড়িতে নিজে বোম মারছে। আর টিভিতে বলছে আমায় বোমা মেরেছে। কে মারবে রে তোকে? তোর গায়ে ছুঁতেই লজ্জা লাগে। তৃণমূল গুন্ডাদের দল নয়। আগে সিপিএমের আমলে ভোট দিতে গেলে বোমা নিয়ে তাড়া করত। বড় বড় বাড়িগুলি তালা দিয়ে দিত। দেখেননি আপনারা? কলকাতার মানুষ সাক্ষী। ৩০ বছর সিপিএমের সঙ্গে লড়তে পারলে তোমাদের বিরুদ্ধেও লড়তে পারি। ভ-এ ভবানীপুর, ভ-এ ভারতবর্ষ। ভয় দেখিয়ে চমকে লাভ নেই। আমরা লড়াই করি। এজেন্সির ভয় পাই না। জেলে যাব তবু আত্মসমর্পণ করব না।’