বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

ভবানীপুর উপনির্বাচন ঘিরে জটিলতা! নির্বাচন কমিশনের হলফনামা নিয়ে চরম ক্ষুদ্ধ হাইকোর্ট

০২:৪০ পিএম, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২১

ভবানীপুর উপনির্বাচন ঘিরে জটিলতা! নির্বাচন কমিশনের হলফনামা নিয়ে চরম ক্ষুদ্ধ হাইকোর্ট

ভবানীপুর উপনির্বাচন ঘিরে বাড়ল জটিলতা। কলকাতা হাইকোর্টের চরম ভর্ৎসনার মুখে পড়ল নির্বাচন কমিশন। এখনই ভবানীপুরের নির্বাচন না করলে সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি হতে পারে বলে রাজ্যের মুখ্যসচিবের বক্তব্যকে হাতিয়ার করেছিল নির্বাচন কমিশন। তা নিয়ে কমিশনের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছিল আদালত। বৃহস্পতিবারই নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্যে হাইকোর্ট জানিয়েছিল, কীভাবে একটি উপনির্বাচনে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা তৈরি হল, তা জানিয়ে হলফনামা জমা দিক নির্বাচন কমিশন। তার প্রেক্ষিতে এদিন আদালতে হলফনামা জমা দিতেই কমিশনের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে উঠল হাইকোর্ট।

উল্লেখ্য, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। আর এই উপনির্বাচন নিয়েই কমিশনের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, এখনই নির্বাচন না হলে রাজ্যে সাংবিধানিক সংকট দেখা যাবে বলে মুখ্যসচিব উল্লেখ করেছেন। তা নিয়েই আদালতে হলফনামা জমা দেওয়ার তলব করা হয়েছিল কমিশনকে। ঘটনাচক্রে, নির্বাচন কমিশন এদিন যে হলফনামা জমা দিয়েছে তাতে সন্তুষ্ট নয় আদালত। ত্রুটিপূর্ণ হলফনামা জমা দেওয়া হয়েছে, এই অভিযোগে আদালত তা গ্রহণও করেনি।

একই সঙ্গে আদালতে প্রশ্ন তোলা হয়, 'একটি আসনের জন্যই কি সংবিধান আর আইনের বাধ্যবাধকতা? মুখ্যসচিব কীভাবে লেখেন সাংবিধানিক সংকটের কথা? মুখ্যসচিবের চিঠির ভিত্তিতে কীভাবে পদক্ষেপ নিতে পারে নির্বাচন কমিশন? সাংবিধানিক সংকট তৈরি হবে এই বক্তব্যটি কার, নির্বাচন কমিশন নাকি রাজ্যের মুখ্যসচিবের?' এই সকল প্রশ্নের কোনও জবাব দিতে পারেনি কমিশন। ফলে অসন্তুষ্ট হাইকোর্ট। সূত্রের খবর, এদিন শুনানি শেষ হলেও আদালত রায়দান স্থগিত রেখেছে।

এছাড়াও, নির্দিষ্টভাবে ভবানীপুরের প্রসঙ্গ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ ক্ষোভের সঙ্গে বলে, 'একজন নির্বাচনে জিতে পদত্যাগ করবেন, তাঁর জায়গায় আরেকজন ভোটে দাঁড়াবেন বলেই ভোট করার প্রবণতা!' হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি এও প্রশ্ন তোলেন, 'সেই উপনির্বাচনের জন্য জনগণের করের টাকা কেন খরচ করা হবে? আদালতকে কেন উত্তর দিতে পারছে না নির্বাচন কমিশন?' পাশাপাশি আদালত জানায়, এই উপনির্বাচনের খরচ কোনওভাবে অন্য পন্থায় ব্যবস্থা করা যায় কিনা, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। পরবর্তীতে বৃহত্তর স্বার্থে এই শুনানি হবে বলেও জানিয়েছে হাইকোর্ট।