বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

অঙ্গ বিক্রির মামলায়, রোগী মৃত্যুর ৫ মাস পরে ডিএনএ টেস্টের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের!

০২:৩৫ পিএম, অক্টোবর ৫, ২০২১

অঙ্গ বিক্রির মামলায়, রোগী মৃত্যুর ৫ মাস পরে ডিএনএ টেস্টের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের!

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ রোগীর মৃত্যু হয়েছে ৫ মাস হয়ে গেল। ৫ মাস পরে ডিএনএ পরীক্ষার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এই নির্দেশের পিছনে অবশ্য গুরুতর অভিযোগ রয়েছে রোগীর পরিবারের তরফে। আর সেই অভিযোগের উপর ভিত্তি করেই ডিএনএ টেস্টের নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থার।

চলতি বছরের ২২ এপ্রিল বেলঘরিয়ার মিডল্যান্ড নার্সিংহোমে করোনা আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হন কাকলি সরকার। এর তিনদিন পর, ২৫ এপ্রিল, সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর মৃত্যুর পরই পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় যে, মৃত্যুর আগে কাকলি তাঁদের জানিয়েছিলেন যে, এই নার্সিংহোমে অঙ্গ বিক্রির একটা বড় চক্র চলছে। তাঁরও অঙ্গ বিক্রির পরিকল্পনা করছে নার্সিংহোম। কাকলি দেবীর পরিবারের তরফে অভিযোগে আরও বলা হয় যে, একটি ইঞ্জেকশন দেওয়ার পরই মৃত্যু হয় কাকলি দেবীর।

এরপর চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে, স্বাস্থ্য কমিশনের দ্বারস্থ হয় কাকলি দেবীর পরিবার। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে নার্সিংহোমকে কাকলির পরিবারকে ২ লাখ টাকা আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য কমিশন। আবার অন্যদিকে, স্বাস্থ্য কমিশনে অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি কাকলি সরকারের মৃত্যুর ঘটনার সিআইডি তদন্ত দাবি করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় তাঁর পরিবার। এছাড়াও, পাশাপাশি নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে ৩০২ ধারায় খুনের মামলা শুরুরও আবেদন করা হয় আদালতে।

সেই আবেদনের ভিত্তিতে গত ১৩ সেপ্টেম্বর মৃতদেহের ময়নাতদন্তের আদেশ দেয় আদালত। এনআরএস হাসপাতালের ৩ চিকিৎসকের দল গঠন করে ময়নাদতন্তের নির্দেশ দেওয়া হয় আদালতের তরফে। এখানেই শেষ নয়, আদালতের তরফে এও নির্দেশে বলা হয় যে, মৃতার দেহের সবকটি অঙ্গ আছে কিনা বা তা বদলে ফেলা হয়েছে কিনা তা দেখার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।

এদিকে, ময়নাতদন্তের সময় দেহ শণাক্ত করতে অস্বীকার করে পরিবার। পরিবারের দাবি ছিল, ওই দেহ কাকলি দেবীর নয়। এরপর মঙ্গলবার ফের এই মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। আজ বিচারপতি রাজশেখর মান্থার নির্দেশ দেন, ওই মহিলার ফের ডিএনএ টেস্ট করাতে হবে। এর জেরে মৃত্যুর পাঁচ মাস পর ডিএনএ টেস্ট হবে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে।