মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪

টিকার জোড়া ডোজেও নেই ছাড়! কালীপুজোয় এবার ‘নো এন্ট্রি’, নির্দেশ জারি হাইকোর্টের

০৭:০৫ পিএম, নভেম্বর ৩, ২০২১

টিকার জোড়া ডোজেও নেই ছাড়! কালীপুজোয় এবার ‘নো এন্ট্রি’, নির্দেশ জারি হাইকোর্টের

কালীপুজোয় দর্শনার্থী অবাধ প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট। একই সঙ্গে জগদ্ধাত্রী পুজো ও কার্ত্তিক পুজোতেও অবাধে প্যান্ডেলে প্রবেশ নিষেধ। গতবছরের নিয়মই এবার ফের কার্যকর করা হল৷ মুখে মাস্ক বা করোনা টিকা দুটি ডোজ থাকলেও ছাড় নয়। দুর্গাপুজোর সময় নিয়মের তোয়াক্কা না করেই প্যান্ডেলে ভিড় জমিয়েছিলেন দর্শনার্থীরা। ফলে পুজোর পর রাজ্যের কোভিড গ্রাফও উপরের দিকে। তাই আগাম সতর্কতা নিতেই এমন নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখল আদালত৷

রাজ্যের করোনা সংক্রমণ যখন ঊর্ধ্বমুখী তখন কালীপুজো ও জগদ্ধাত্রী পুজোতে যাতে জনসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়, এই আর্জিতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করা হয়৷ পুজোর আগে রাজ্যের করোনা গ্রাফ নিম্নমুখী থাকলেও পুজোর পর তা ফের চড়ছে। এই পরিস্থিতিতে উৎসবের মরশুমে প্যান্ডেলে অবাধ প্রবেশ ঘটলে অচিরেই সংক্রমণ বাড়বে। ফল ভুগবে সাধারণ মানুষ। সেই আশঙ্কা থেকেই মামলা করেন মামলাকারী।

সেই মামলার রায় ঘোষণাতেই এবার শীর্ষ আদালতের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, মণ্ডপে অবাধ প্রবেশ নিষেধ। ছোট ও বড় প্যান্ডেলের ক্ষেত্রে দর্শনার্থী সংখ্যা নির্দিষ্ট করতে হবে। বেশি সংখ্যক দর্শনার্থী মণ্ডপে প্রবেশ করতে পারবে না। মাস্ক বা করোনা টিকার দুটি ডোজ হলেও ছাড়পত্র নেই। সাধারণ মানুষ নিজেদের দায়িত্বে থাকবেন। গত বছর বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় অবাধ প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এ দিন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চও সেই নির্দেশই বহাল রাখল।

দুর্গাপুজোর সময় আরতি থেকে সিঁদুরখেলায় দুটি ডোজেই ছাড়পত্র মিলেছিল। কিন্তু কালীপুজোর ক্ষেত্রে ডবল ডোজেও ছাড়পত্র মিলবে না৷ তবে একই সঙ্গে এও বলা হয়েছে রাজ্যে সংক্রমণের হার তুলনামূলকভাবে বেশি বাড়েনি, তাই আশঙ্কা কিছুটা কমই। যদিও আগাম সতর্কতার জন্যই আদালতের এই নির্দেশ। অন্যদিকে, হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, কালী পুজো বা দীপাবলিতে পরিবেশ বান্ধব বাজি ফাটানোতে ছাড় মিলেছে। রাত ৮ টা থেকে ১০ টা ২ ঘণ্টার জন্য বাজি ফাটানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে।