করোনা আবহের মধ্যে দেশে মাথা চাড়া দিয়েছে নতুন এক রোগ, মিউকরমাইকোসিস (Mucormycosis)। চলতি কথা যাকে বলা হচ্ছে, ব্ল্যাক ফ্যাঙ্গাস (Black Fungus)। ইতিমধ্যেই দেশের বহু মানুষ সংক্রামিত হয়েছেন এই রোগে৷ একে মহামারীও ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে চিকিৎসকদের কপালে বাড়ছে চিন্তার ভাঁজ।
ইউএস সেন্টারস অফ ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (US Centers for Disease Control and Prevention) বা সিডিসি অনুযায়ী, মিউকরমাইকোসিস মূলত মাটি এবং পচা পাতার মতো ক্ষয়কারী জৈব পদার্থের মধ্যে পাওয়া একটি ছত্রাক। তার থেকেই সৃষ্টি এই বিরল রোগের৷ দুর্বল শরীরে কালো ছত্রাকজনিত এই রোগ দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ছে৷ বিশেষ করে করোনা আক্রান্তদের শরীরেই বাসা বাঁধছে এই রোগ। এছাড়াও অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিক রোগীদের শরীরে এই ছত্রাকের সংক্রমণের আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। মূলত যাঁদের শরীরে স্টেরয়েড প্রয়োগের মাত্রা বেশি রয়েছে।
[caption id="attachment_16966" align="alignnone" width="1080"] ব্ল্যাক ফ্যাঙ্গাসের সংক্রমণের জন্য কি দায়ী পোল্ট্রির মুরগি? বিশেষজ্ঞদের কী মত?[/caption]সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় এই রোগ সংক্রান্ত একটি পোস্ট ভাইরাল হয়েছে। সেখানে বলা হচ্ছে, ব্ল্যাক ফ্যাঙ্গাসের সংক্রমণের জন্য নাকি দায়ী পোল্ট্রির মুরগি। পোল্ট্রি থেকেই নাকি ছড়াচ্ছে এই রোগ। একটি সংবাদ মাধ্যমের নাম বিকৃত করে সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন রীতিমতো ভাইরাল এই খবর। তার ফলে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। কিন্তু সত্যিই কি ঘটনাটি তাই? বিশেষজ্ঞদের কী মত? তাঁরা কী বলছেন?
[caption id="attachment_16967" align="alignnone" width="1200"] ব্ল্যাক ফ্যাঙ্গাসের সংক্রমণের জন্য কি দায়ী পোল্ট্রির মুরগি? বিশেষজ্ঞদের কী মত?[/caption]বিশেষজ্ঞদের দাবী, এই খবরের কোনও সত্যতাই নেই। তাঁরা জানাচ্ছেন, মানুষ বা অন্য কোনও পশু-পাখির মাধ্যমে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ ছড়াতে পারে না। এই ফ্যাঙ্গাসটি মূলত বাতাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। শরীরে কোনও কাটা-ছেঁড়া থাকলে সেখানে সংক্রমিত হয়ে শরীরে প্রবেশ করে। এছাড়াও ডায়াবেটিক বা করোনা আক্রান্তদের শরীরে সহজেই বাসা বাঁধতে পারে এই রোগ। যাঁদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাঁদেরও সংক্রমণের আশঙ্কা বেশি। এই সব ব্যক্তির ক্ষেত্রে এই সংক্রমণ প্রাণহানিকর হয়ে উঠতে পারে বলেও জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।