বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

বড় ঘোষণা করল মোদী সরকার! অ-মুসলিমদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বিশেষ বিজ্ঞপ্তি জারি

০১:৩৩ পিএম, মে ২৯, ২০২১

বড় ঘোষণা করল মোদী সরকার! অ-মুসলিমদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বিশেষ বিজ্ঞপ্তি জারি

২০১৯ সালে কেন্দ্রের তরফে নাগরিকত্ব আইন (CAA) পাসের পর থেকেই দেশজুড়ে শুরু হয়েছিল বিক্ষোভ। ২০২০ সালে CAA বিরোধী রব ছিল অব্যাহত। ফলে এই প্রক্রিয়া স্থগিত হয়েই পড়েছিল৷ তবে এবার বড় ঘোষণা করল মোদী সরকার। অ-মুসলিমদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দিতে সম্প্রতি বিশেষ বিজ্ঞপ্তি জারি করল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।

এই বিজ্ঞপ্তি ২০১৯ সালে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী নয়! বরং ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইন এবং ২০০৯ সালে প্রণীত নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের অধীনেই জারি করা হয়েছে এই বিজ্ঞপ্তি। আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ এবং গুজরাট, গুজরাট, রাজস্থান, ছত্তিসগড়, হরিয়ানা, পাঞ্জাবের মতো রাজ্যে বসবাসকারী হিন্দু, শিখ, জৈন ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে বলে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে এও বলা হয়েছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক প্রকাশিত সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন সিএএ ২০১৯-এর মাধ্যমে ভারতে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে আসা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, জৈন, শিখ ও পার্সিদের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রক্রিয়া করা শুরু করা হচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দু উদ্বাস্তুদের চিহ্নিত করতে সাহায্য করবে নাগরিকত্ব সংশোধন আইন ২০১৯। ফলে অনাগরিক অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করাও সহজ হবে।

প্রথমত, নাগরিকত্বের আবেদন করার পর ওই দেশগুলি থেকে আগত মানুষদের ক্ষেত্রে আবেদনের সত্যতা যাচাই করবেন সংশ্লিষ্ট রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব কিংবা জেলাশাসকরা। তারপরই তাঁদের ভারতীয় নাগরিক হিসেবে চিহ্নিত করে নাম নথিভুক্ত করা হবে। নাগরিকত্বের শংসাপত্রও দেওয়া হবে। ২০১৪ সালের ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে যাঁরা এসেছেন, একমাত্র তাঁরাই আবেদন করতে পারবেন। দ্রুত আবেদন করার জন্য অনুরোধও জানানো হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে।

এছাড়াও গুজরাটের মোরবি, রাজকোট, পাটন ও বদোদরায় এবং রাজস্থানের ঝালোর, বারমের, সিরোহি, উদয়পুর, পালিতে বসবাসকারী অ-মুসলিম বাসিন্দাদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কাজ শুরু হবে। ছত্তিশগড়ের দুর্গ ও বালোদাবাজার, পাঞ্জাবের জলন্ধর এবং হরিয়ানার ফরিদাবাদের অ-মুসলিম বাসিন্দারাও পাবেন এ সুযোগ। তবে এই পর্বে বাংলার নাম থাকছে না। প্রথম পর্বে বাংলার শরণার্থীদের ছাড়াই নাগরিকত্ব দেওয়ার কাজ শুরু হচ্ছে।