শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

করোনা মোকাবিলায় রাজ্যে কনটেনমেন্ট জোন তৈরির নির্দেশ! এই তিন 'T'-এর উপর বেশি জোর

০৮:০০ পিএম, অক্টোবর ২৩, ২০২১

করোনা মোকাবিলায় রাজ্যে কনটেনমেন্ট জোন তৈরির নির্দেশ! এই তিন 'T'-এর উপর বেশি জোর

উৎসবের মরশুমে রাজ্যে ক্রমশই চড়ছে করোনা সংক্রমণের গ্রাফ৷ গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে একশো'রও বেশি বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। শুক্রবার কলকাতায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩১৯ জন। শনিবার সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪৪৯ জন। রাজ্যের এহেন পরিস্থিতিতে নবান্নে বাড়ছে উদ্বেগ। শনিবার কলকাতা সহ রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য জরুরি বৈঠক ডেকেছিলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। এই বৈঠকে সমস্ত জেলাশাসক, পুলিস সুপার এবং স্বাস্থ্য আধিকারিকদের ভার্চুয়ালি উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। রাজ্যের পরিস্থিতি সামাল দিতে ওই বৈঠকে একদফা নির্দেশিকা জারি করলেন মুখ্যসচিব।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রাজ্যের কলকাতা, মালদা, নদীয়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, উত্তর দিনাজপুর, পশ্চিম বর্ধমান ও দার্জিলিং জেলায় করোনা সংক্রমণের হার ক্রমশ বাড়ছে। শনিবারের ভার্চুয়াল বৈঠকে এই জেলাগুলির জেলাশাসকদের আলাদা করে একাধিক নির্দেশ দিলেন মুখ্যসচিব। বিশেষ করে জেলাগুলর বিভিন্ন জায়গায় মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন করার ক্ষেত্রে জোর দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও রাজ্যজুড়ে জারি থাকা নাইট কার্ফুও কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে।

এর পাশাপাশি ৩টে 'T' দিকে বিশেষ নজর দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। এই ৩টে ''ট' হল টেস্টিং (Testing), ট্র্যাকিং (Tracking) ও ট্রিটমেন্টের (Treatment)। কারণ অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে কোভিডের দুটি ডোজ নেওয়ার পরও আক্রান্ত হচ্ছেন বহু মানুষ। যা নিয়ে উদ্বীগ্ন রাজ্য সরকার। তাই নাইট কার্ফু, কনটেইনমেন্ট জোন ও মাস্কের ব্যবহারের বিষয়ে প্রয়োজনে পুলিশকে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে।

এবার একনজরে দেখে নেওয়া যাক কোভিড সংক্রান্ত কী কী নির্দেশ দেওয়া হল? ১) বিভিন্ন জেলায় ফের প্রয়োজন অনুযায়ী কনটেনমেন্ট জোন তৈরি করতে হবে। ২) টিকাকরণের হার বাড়াতে হবে। ৩) মাস্ক ব্যবহার আবশ্যিক। ৪) কঠোরভাবে পালন করতে হবে রাত্রিকালীন বিধিনিষেধ। ৫) সঠিকভাবে করোনা আক্রান্ত রোগীদের ট্র্যাক করে প্রয়োজনমতো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ৬) হাসপাতালগুলিতে কোভিড চিকিৎসা ব্যবস্থার পুনর্মূল্যায়ণ করতে হবে। নতুন ও আশঙ্কাজনক রোগীদের জন্য আলাদা আলাদা ব্যবস্থা রাখতে হবে।