বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

মোবাইলই সামনে আনল স্ত্রীর কুকীর্তি! প্রেমিকের সঙ্গে যোগসাজশ করে স্বামীকে খুনের অভিযোগ

০৯:১১ পিএম, সেপ্টেম্বর ৯, ২০২১

মোবাইলই সামনে আনল স্ত্রীর কুকীর্তি! প্রেমিকের সঙ্গে যোগসাজশ করে স্বামীকে খুনের অভিযোগ

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ প্রেমিকের সঙ্গে হাত মিলিয়ে স্বামীকে স্বামীকে খুনের অভিযোগ উঠল এক গৃহবধূর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনা গাইঘাটা থানার সুবিদপুরে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে স্ত্রী ও তার প্রেমিককে। পাশাপাশি কবর থেকে স্বামীর দেহ তুলে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

জানা গিয়েছে, সুবিদপুরের বাসিন্দা ৪৬ বছরের আমিনুর মোল্লার গত ৪ সেপ্টেম্বর মৃত্যু হয়। আমিনুর মোল্লার মৃত্যুর পর, পরিবারের সদস্যরা এই মৃত্যুকে স্বাভাবিক মৃত্যু মনে করে, প্রথা অনুযায়ী দেহ কবরও দেয়। কিন্তু মৃত্যুর তিনদিন পরেই পরিবারের সদস্যরা একটি মোবাইল ফোন খুঁজে পায়।

এই মোবাইল ফোন থেকেই ক্রমশ আমিনুর মোল্লার মৃত্যু নিয়ে তাঁর পরিবারের সদস্যদের মনে সন্দেহ দানা বাঁধতে শুরু করে। ওই মোবাইলের কল রেকর্ডিং থেকে তাঁরা জানতে পারেন যে, পাশের গ্রামের বাবলু সর্দারের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে মৃতের স্ত্রীর। এই সম্পর্কের কারণেই বাবলু ও আমিনুরের স্ত্রী জোহার মোল্লা পরিকল্পনা করে আমিনুরের খাবারে বিষ মিশিয়ে তাঁকে খুন করেছে বলে অভিযোগ তোলে, আমিনুরের পরিবার। অভিযোগ পেয়ে, তদন্তে নেমে স্ত্রী জোহরা মোল্লা ও বাবলু সরদারকে গ্রেফতার করে গাইঘাটা থানার পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাতে গাইঘাটা থানায় এই বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়। আমিনুরের স্ত্রীর বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগও উঠেছে। বুধবার ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে কবর থেকে তোলা হয়েছে মৃত আমিনুরের দেহ। এরপর তা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তদন্তে নেমে বুধবার জোহরা এবং বাবলু সর্দারকে গ্রেফতার করেছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গাইঘাটায় এমন ঘটনা নতুন কিছু নয়। গত বছর অক্টোবর মাসে স্বামীকে খুন করে প্রেমিকের ঘরে খাটের নিচে পুঁতে রাখার অভিযোগ উঠেছিল স্ত্রী ও তাঁর প্রেমিকের বিরুদ্ধে। এরপর মাটি খুঁড়ে নিহতের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

সেই ঘটনায় এক পুকুর পাড়ে রক্ত দেখতে পেয়েছিলেন স্থানীয়রা। সন্দেহ হওয়ায়, এরপর স্থানীয়রাই গাইঘাটা থানায় খবর দেন। পুলিশ ও স্থানীয়রা খোঁজাখুঁজি করে সংলগ্ন বাঁশবাগান থেকে জুতো, মাস্ক ও টর্চ খুঁজে পায়। এলাকারই বাসিন্দা সুজিত দাসের বাড়ির সামনেও রক্ত পড়ে থাকতে দেখা যায়। সেই সূত্র ধরে সুজিত দাসের বাড়ির খাটের নীচ থেকে উদ্ধার হয়েছিল এক ব্যক্তির মৃতদেহ। এবার আবার সেই গাইঘাটায় ঘটল একই ধরনের ঘটনা।