শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসায় নিহতদের ২ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য! ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

০৫:০৫ পিএম, মে ৬, ২০২১

রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসায় নিহতদের ২ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য! ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ রাজ্যে একুশের বিধানসভা নির্বাচন শেষ হয়ে, ফলাফল ঘোষিত হওয়ার পরেও ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত। রাজ্যে এ পর্যন্ত ভোট পরবর্তী হিংসার বলি হয়েছেন ১২ জন।

এদিকে তৃতীয়বারের জন্য বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পরেই এই হিংসা বন্ধ করার জন্য কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শান্ত থাকার এবং রাজ্যে শান্তি বজায় রাখার বার্তা দিয়েছিলেন। তারপরেও হিংসা চলছে। এবার ভোট পরবর্তী হিংসায় যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আজ নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিক সম্মেলনে ঘোষণা করলেন যে,  ‘ভোট পরবর্তী হিংসায় যাঁরা মারা গিয়েছেন তাঁদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করা হবে। যে দলের কর্মী খুন হয়েছেন, তাঁদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য করা হবে। অর্ধেক বিজেপি ও অর্ধেক তৃণমূল কর্মী মারা গিয়েছেন।’

এদিন নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে এই কথা ঘোষণা করার সঙ্গে বিজেপিকে সংযত থাকার কথাও বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন যে, ‘করোনায় বন্ধ মিটিং-মিছিল, তাও কেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা বাংলায়? ভোট পরবর্তী হিংসা না হওয়ার জন্য শান্তির বার্তা দিয়েছি। সংযত হোক বিজেপি, মানুষের রায় মেনে নিন।’

তিনি বলেন যে, ‘একটা সরকারের ২৪ ঘণ্টায় হয়নি ক্ষমতায় আসার পর, তার মধ্যেই চিঠি চলে আসছে, প্রতিনিধি দল আসছে। এটা আগে দেখিনি’। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'বিজেপি ফেক ভিডিও ছড়াচ্ছে, মিথ্যা কথা রটানো হচ্ছে। বাংলার বদনাম করার চেষ্টা করছে বিজেপি।’

উল্লেখ্য, এদিন কোচবিহারে আক্রান্ত হয়েছেন তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক উদয়ন গুহ। সেই প্রসঙ্গ টেনে, এদিন তিনি বলেন যে, ‘কোচবিহারে গুণ্ডামি একটু বেশি হচ্ছে। উদয়নের হাত ভেঙে দেওয়া হয়েছে। যেখানে বিজেপি আসন বেশি পেয়েছে, সেখানে গুণ্ডামি বেশি হচ্ছে। গুণ্ডামিতে বেশি উস্কানি দিচ্ছে বিজেপি।’

তিনি এদিন তৃণমূলের নেতা-কর্মী এবং সমর্থকদেরও সংযত থাকতে বলেন, কোনও অবস্থাতেই কোনও অশান্তি বরদাস্ত করা হবে না বলেও তিনি জানিয়েছেন। আজ নবান্নে হওয়া সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মনে করিয়ে দেন যে, কমিশনের অধীনে আইনশৃঙ্খলা থাকাকালীন ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ রাজ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের ৪ সদস্যের প্রতিনিধি দলের আসা প্রসঙ্গে বলেন যে, ‘অক্সিজেন, ভ্যাকসিন নেই, তখন কেন কেন্দ্রীয় দল আসে না? দিল্লির দাঙ্গার পর কেন্দ্রীয় দল আসে না।’ তিনি যোগ করেন, ‘কেন্দ্রীয় দল আসতেই পারে, কিন্তু কেউ এলে আরটিপিসিআর পরীক্ষা করতে হবে। বাংলার বাইরে থেকে কেউ এলে আরটিপিসিআর পরীক্ষা জরুরি।’