বাংলা জয় করে এবার দেশের ছোট ছোট রাজ্যগুলিতে খাতা খোলার জন্য এগোচ্ছে তৃণমূল। সেই মতই ত্রিপুরার পর এবার পাখির চোখ গোয়া। জানা গিয়েছে, চলতি মাসের ২৮ তারিখ গোয়া যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগেই শনিবার সকালে টুইট করে তিনি এই সফর নিয়ে উচ্ছাস প্রকাশ করেন। একইসঙ্গে এই সফর যে রাজনৈতিক ভাবেও যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ তাও বুঝিয়ে দেন তিনি।
এদিন সকালেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুটি টুইট করেন। প্রথম টুইটে তিনি লেখেন, " ২৮ তারিখের গোয়া সফরের জন্য আমি প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমি সমস্ত ব্যক্তিত্ব, সংস্থা এবং রাজনৈতিক দলগুলিকে আহ্বান জানাচ্ছি বিজেপিকে হারাতে সংঘবদ্ধ হোন। গত ১০ বছর ধরে গোয়ার মানুষকে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। সকলে যুথবদ্ধ হলে নতুন সরকার গঠিত হবে। যা গোয়ায় এক নতুন সকাল নিয়ে আসবে। নতুন সরকার মানুষের সরকার হোক, মানুষের সমস্যা বুঝুক এটাই কাম্য।"
https://twitter.com/MamataOfficial/status/1451737988686245888পরের টুইটে তিনি লেখেন, "একসঙ্গে, আমরা একটি নতুন সরকার গঠনের মাধ্যমে গোয়ার জন্য একটি নতুন ভোরের সূচনা করব। যা সত্যই গোয়ার জনগণের সরকার হবে এবং তাদের চাহিদা,প্রয়োজন উপলব্ধি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হবে!"
https://twitter.com/MamataOfficial/status/1451737990867263492প্রসঙ্গত, পুজোর মধ্যেই গোয়ায় নিজস্ব রাজনৈতিক কার্যালয় খুলেছে তৃণমূল। ইতিমধ্যেই ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিয়েছেন কংগ্রেস-সহ বিভিন্ন দল ছেড়ে আসা একাধিক রাজনৈতিক এবং অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।ফলে আগামী ২৮ অক্টোবর মুখ্যমন্ত্রীর গোয়া যাত্রা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। গোয়া সফর শেষে ১ নভেম্বর তাঁর কলকাতায় ফিরবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গোয়ায় মমতার রাজনৈতিক কর্মসূচি এখনও জানা না গেলেও একটা ব্যাপার পরিষ্কার, গোয়ায় আসন্ন বিধানসভা ভোটের আগে প্রতিপক্ষকে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়তে নারাজ তৃণমূল। শনিবার সকালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের টুইটই তা বুঝিয়ে দিল।