বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

নয় ঘণ্টা জেরা শেষে ইডি দফতর থেকে বেরিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দিলেন এই প্রতিক্রিয়া

০৯:১৫ পিএম, সেপ্টেম্বর ৬, ২০২১

নয় ঘণ্টা জেরা শেষে ইডি দফতর থেকে বেরিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দিলেন এই প্রতিক্রিয়া

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ দিল্লিতে জামনগরের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের সদর দফতরে নির্ধারিত সময়ে আজ যান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন অর্থাৎ সোমবার সকাল ঠিক ১১ টায় দিল্লির জামনগর এলাকায় ইডি’র দফতরে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে ছিল বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র।

কয়লা কেলেঙ্কারি তদন্তে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সংক্রিয়তা বাড়ানোর পর, এনিয়ে দ্বিতীয়বার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক এবং তাঁর স্ত্রীকে তলব করল ইডি বা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ৬ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ আজই ছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাজির দেওয়ার দিন। সেই অনুযায়ী, এদিন ইডি’র সদর দফতরে হাজিরা দেন অভিষেক। তদন্তে সহযোগিতা করতে আগের দিনই অর্থাৎ রবিবারই তিনি দিল্লি উড়ে যান। এদিন ৯ ঘণ্টার ম্যারাথন জেরা শেষে, ইডি দফতর থেকে বের হলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

এদিন সকালে প্রথম দফার জিজ্ঞাসাবাদের পর দুপুরের পর ফের তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন ইডি আধিকারিকরা। ইডি দফতর থেকে বেরিয়ে ক্ষোভ উগরে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এভাবে তৃণমূলকে ভয় দেখিয়ে ঘরে বসানো যাবে না। শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিত্রার্থ করতেই কলকাতার কেসকে দিল্লি টেনে এনেছে।’

https://www.facebook.com/AITCofficial/videos/149319807379411/

রবিবার দিল্লি যাওয়ার আগে, কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে এনিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগের সুরে বলেন যে, ‘এটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। যদি কোথাও আমাকে অভিযুক্ত হিসেবে প্রমাণ করা যায়, তাহলে আবারও দায়িত্ব নিয়ে বলছি, রাজনীতি ছেড়ে দেব। আমি ভয় পাওয়ার লোক নই। আমাকে এজেন্সি দিয়ে ভয় দেখানো যাবে না। কেউ বলছে ১০০ কোটির স্ক্যাম, কেউ বলছে ১০০০ কোটি। আমি বলছি যদি ১০ পয়সারও দুর্নীতি থাকে প্রমাণ করে দেখান। আমি বলছি আমার পিছনে ইডি, সিবিআই লাগানোর দরকার নেই। ফাঁসির মঞ্চ করে দিন। আমি সেই মঞ্চে উঠে যাব। ভিডিও ফুটেজে যাদের টাকা নিতে দেখা গিয়েছে, তাদের ডাকা হচ্ছে না। মানুষ সব কিছুর বিচার করবেন।’

তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের কথায়, তিনি এর আগে নভেম্বরে যা বলেছিলেন, আজও সেই একই কথাই বলবেন। যে কোনও তদন্তেই তাঁর কোনও সমস্যা নেই। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অভিষেক বলেন, ‘তদন্তকারী সংস্থা ডেকেছে। সবারই উচিত, তদন্তে সহযোগিতা করা। আমিও সেটা করতেই এসেছি। বাকিটা ওঁরা করবেন। যা ঘটছে, সব দেখছেন দেশের মানুষ।’

কলকাতা থেকে দিল্লি ডেকে পাঠানোয় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ‘কলকাতার কেসে দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছে। এরপর প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনীতি ছাড়া আর কী বলা যাবে!’ কেন্দ্রীয় সংস্থার ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলে অভিষেক বলেন, ‘যে কোনও সর্বভারতীয় বিজেপির নেতা যদি আমার সঙ্গে মিনিট পাঁচেকের জন্যেও বসেন আমি সব তথ্য দেখিয়ে দেব, কেন্দ্রীয় সংস্থা কীভাবে কাজ করেছে। আমি প্রমাণ করতে না পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেব। যারা টাওয়ালে মুড়ে টাকা নিয়েছেন সবই টিভিতে দেখা গিয়েছে। এদিকে চার্জশিটে তাঁদের নাম থাকে না।’ নাম না করে অভিষেক কটাক্ষ করেন শুভেন্দু অধিকারীকে।

এদিকে অভিষেকের পাশাপাশি এই কয়লা কেলেঙ্কারি কাণ্ডে তদন্তে তাঁর স্ত্রী রুজিরাকেও দিল্লিতে তলব করেছে ইডি। তবে, ইতিমধ্যেই ছোট সন্তানদের ছেড়ে, তাঁর পক্ষে দিল্লি যাওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। ইডিকে এ প্রসঙ্গে নিজের আবেদনে অভিষেক পত্নী জানিয়েছেন যে, কলকাতাতেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে। তবে এখনও পর্যন্ত রুজিরার ক্ষেত্রে কী পদক্ষেপ নেবে ইডি তা এখনও জানা যায়নি।