দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি খানিকটা কমলেও উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি চলবে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। এ পরিস্থিতিতে উত্তরবঙ্গের পাহাড়ের উপরের দিকে যে জেলাগুলির রয়েছে সেই পাঁচ জেলায় ইতিমধ্যেই জারি হয়েছে সর্তকতা। সেখানেই টানা বৃষ্টিতে আটকে পড়েছেন কয়েক হাজার পর্যটক। সব মিলিয়ে নাজেহাল অবস্থা উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলায়।
পুজোর সময় জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার সহ দার্জিলিং কার্শিয়াংয়ে পর্যটকদের ভিড় হয় চোখে পড়ার মতো। এই জেলাগুলিতে বৃষ্টির জেরে তিস্তার জলস্তর বিপদসীমার উপর দিয়ে বইতে শুরু করেছে আর তাতেই সেখানে আটকে পড়েছেন কয়েক হাজার পর্যটক। এদিকে টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গে একাধিক জাতীয় সড়ক বন্ধ হয়েছে। বিদ্যুৎ বিভ্রাটও শুরু হয়েছে নানান এলাকায়।
তবে যে সমস্ত এলাকা ঢাকা বৃষ্টির প্রভাবে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে সেখানে ইতিমধ্যে উদ্ধার কাজ চালানো শুরু হয়েছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল ইতিমধ্যে উদ্ধারকাজ শুরু করেছে। বালির বস্তা ফেলে নদী বাঁধ রক্ষা করার পাশাপাশি উদ্ধার করা হচ্ছে বিপর্যস্ত এলাকার মানুষদের। রাস্তাঘাট পরিষ্কার করার কাজও শুরু হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ১০নম্বর জাতীয় সড়কের ২৯ মাইলের কাছে ধস নেমে রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ওই এলাকার সঙ্গে সমস্ত রকম যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। কালিম্পং এর লাভা থেকে গরুবাথান যাবার রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ফলে ঐ সমস্ত এলাকায় ঘুরতে যাওয়া পর্যটকরা আটকে পড়েছেন।
পর্যটকরা ছাড়াও জিলিং কালিংপং কার্শিয়াংয়ে বেশিরভাগ এলাকা জলমগ্ন হওয়ায় স্থানীয় মানুষের ঘর বন্দি হয়ে পড়েছেন। ঐ সমস্ত এলাকায় বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয় নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু করেছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। এদিকে টানা বৃষ্টিতে যেমন ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়েছে তেমনি বাগডোগরা থেকে বিমান চলাচল ব্যাহত হয়েছে।