বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ফের কমল দৈনিক সংক্রমণ! স্বস্তি দিয়ে কমেছে অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যাও

১১:১৬ এএম, অক্টোবর ২৫, ২০২১

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ফের কমল দৈনিক সংক্রমণ! স্বস্তি দিয়ে কমেছে অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যাও

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ উৎসবের মরশুমে করোনা নিয়ে শুরু থেকেই বিশেষ সতর্ক ছিল কেন্দ্রের মোদী সরকার। তাই সংক্রমণ ঠেকাতে জোর দেওয়া হয় করোনাবিধিতে। পাশাপাশি গতি বাড়ানো হয় টিকাকরণের উপরেও। যার সুফল মিলেছে হাতেনাতে। উৎসবের মরশুমে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে দেশের করোনা সংক্রমণ। পাশাপাশি করোনার টিকাকরণে ইতিমধ্যেই ১০০ কোটির লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে দেশ। গত ২৪ ঘণ্টায় ফের কমল করোনার দৈনিক সংক্রমণ। আবার গতকালের থেকে কমল সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা।

সোমবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ হাজার ৩০৬ জন। গতকালের থেকে সংক্রমণ কম। গতকাল দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৫ হাজার ৯০৬ জন।

এদিকে, স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডে প্রাণ হারিয়েছেন ৪৪৩ জন। দেশে করোনায় মৃতের এই সংখ্যা চিন্তা বাড়াচ্ছে। তবে, গতকালের থেকে মৃত্যুর সংখ্যা সামান্য কমেছে। গতকাল দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছিল ৫৬১ জনের। দেশে এখনও পর্যন্ত করোনার বলি ৪ লাখ ৫৪ হাজার ৭১২ জন।

https://twitter.com/ANI/status/1452488006015672327

দেশের সার্বিক সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে থাকার পাশাপাশি আশার আলো দেখাচ্ছে করোনার নিম্নমুখী অ্যাকটিভ কেস। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, বর্তমানে দেশে করোনায় চিকিৎসাধীন রোগী ১ লক্ষ ৬৭ হাজার ৬৯৫। বলা হচ্ছে, এই সংখ্যা গত ২৩৯ দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন। এই পরিসংখ্যানে খানিকটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। প্রতিদিনই একটু একটু করে কমছে সংখ্যাটা। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আশার আলো যোগাচ্ছেন করোনাজয়ীরাই। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ১৮, ৭৬২ জন। দৈনিক সুস্থতার সংখ্যা আক্রান্তের সংখ্যার থেকে অনেকটাই বেশি।

এই মুহূর্তে উপসর্গহীন করোনা রোগীদের চিহ্নিত করতে বেশি তৎপর কেন্দ্র। পরীক্ষার সংখ্যাও তাই বাড়ানো হচ্ছে। জোর দেওয়া হয়েছে অ্যান্টিজেন টেস্টে। বাংলা-সহ একাধিক রাজ্যে পাঠানো হয়েছে প্রচুর Rapid Antigen Test কিট। কারণ, শীত আসছে একদিকে এবং তৃতীয় ঢেউ-এর আশঙ্কাও রয়েছে। আর তার আগে চিকিৎসকদের চিন্তা বাড়াচ্ছে উপসর্গহীন ব্যক্তিরা। এই পরিস্থিতিতে চিঠি দিয়ে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে উৎসবে লাগাম টানার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রের মোদী সরকার। কেরল, তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্রের পাশাপাশি এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গের করোনা চিত্রও উদ্বেগজনক। পশ্চিমবঙ্গে নতুন করে কনটেনমেন্ট জোন তৈরি হয়েছে। রাত্রিকালীন বিধিনিষেধ পালিত হচ্ছে আরও কঠোরভাবে।

করোনার মোকাবিলায় টিকাকরণকেই প্রধান হাতিয়ার করা হয়েছে। বছর শেষের আগে ৯৪৪ মিলিয়ন ১৮-ঊর্ধ্ব নাগরিকের টিকাকরণের লক্ষ্য নিয়েছে কেন্দ্র। জোরকদমে চলছে টিকাকরণের কাজ।