বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পর, দেশে ঝড়ের গতিতে বাড়তে শুরু করেছিল করোনার সংক্রমণ। তবে, এখন দেশে করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। সংক্রমণ কমার পাশাপাশি বেড়েছে সুস্থতার হারও। তাও, তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আগে, দেশে করোনা গ্রাফে ওঠানামা অব্যাহত রয়েছে। প্রতিদিন একটু একটু করে বাড়ছে সংক্রমণ, আবার কখনও তা কমছে। এরই মধ্যে আবার সামনেই করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। তার আগে কিছুতেই যেন বাগে আসতে চাইছে না করোনার সংক্রমণ। তবে, গত ২৪ ঘণ্টায় ফের অনেকটাই নিম্নমুখী দৈনিক আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা।
মঙ্গলবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩০ হাজার ৯৪১ জন। গতকালের থেকে সংক্রমণ অনেকটাই কম। গতকাল দেশে করোনার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪২ হাজার ৯০৯ জন। গতকালের তুলনায় আজ সংক্রমণ প্রায় ১১০০০ কম। উল্লেখ্য, দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণের সিংহভাগই কেরলের। পরিসংখ্য়ান অনুযায়ী, কেরলের গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৯ হাজার ৬২২ জন। মৃত্যু হয়েছে ১৩২ জনের।
অন্যদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩৫০ জন। গতকালের থেকে মৃত্যুর সংখ্যাও কম। গতকাল দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ছিল ৩৮০ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে করোনায় মোট প্রাণ হারিয়েছেন ৪ লক্ষ ৩৮ হাজার ৫৬০ জন। আর গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার কবল থেকে সুস্থ হয়ে ফিরেছেন ৩৬ হাজার ২৭৫ জন। তবে, দৈনিক আক্রান্তের তুলনায় দৈনিক সুস্থতার সংখ্যা অনেকটাই কম। দেশে এখনও পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৩ কোটি ১৯ লক্ষ ৫৯ হাজার ৬৮০ জন। অ্যাকটিভ কেস এই মুহূর্তে ৩ লক্ষ ৭০ হাজার ৬৪০ জন।
https://twitter.com/ANI/status/1432554568903102466বর্তমানে দেশের করোনা গ্রাফে চিন্তা বাড়াচ্ছে কেরল এবং মহারাষ্ট্র এই দুই রাজ্য। এই দুই রাজ্যেই সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমুখী। সংক্রমণে রাশ টানতে প্রতি রবিবার করে অতি সংক্রমিত এলাকায় লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রতিদিন রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত নাইট কারফিউ জারির পথে হেঁটেছে কেরল সরকার।
উল্লেখ্য, সামনেই শুরু হতে চলেছে উৎসবের মরশুম। সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে টানা প্রায় ২ মাস ধরে দেশে নানা সম্প্রদায়ের নানা উৎসব রয়েছে। কাজেই মানুষের জমায়েত থেকে ফের সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এই মুহূর্তে তা রুখতেই তৎপর কেন্দ্র সরকার। ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোভিড সংক্রান্ত বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। এ মাসেও বন্ধ থাকছে আন্তর্জাতিক উড়ান। জোর দেওয়া হচ্ছে টিকাকরণে। ইতিমধ্যেই দেশে ৬৩ কোটি ৪৩ লক্ষ মানুষের টিকাকরণ হয়ে গিয়েছে। ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের সবাইকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে কেন্দ্র। পাশাপাশি শুরু হতে পারে ছোটদের ভ্যাকসিনেশন পদ্ধতিও। তার জন্য ট্রায়ালের অনুমোদন পেয়েছে জাইডাস-ক্যাডিলার তৈরি কমবয়সিদের ইঞ্জেকশন বিহীন টিকা।