শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে মৃত্যু ১০০-র বেশি! একদিনে আক্রান্ত ১৮ হাজার ৪৩১ জন

০৯:১১ পিএম, মে ৬, ২০২১

গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে মৃত্যু ১০০-র বেশি! একদিনে আক্রান্ত ১৮ হাজার ৪৩১ জন

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ক্রমশ আরও ভয়ঙ্কর হচ্ছে করোনা পরিস্থিতি। করোনার সংক্রমণ রুখতে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তৃতীয়বারের জন্য শপথ গ্রহণ করেই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংক্রমণের গতিতে রাশ টানতে ইতিমধ্যেই রাজ্যে দুই সপ্তাহের জন্য বাতিল করা হয়েছে সমস্ত লোকাল ট্রেন। তাছাড়াও রাজ্যে আংশিক লকডাউন তো আগেই ঘোষণা করা হয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যায় রেকর্ড সৃষ্টি হল। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ১১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৬ মে পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১১ হাজার ৯৬৪ জনের।

অন্যদিকে, রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ হাজার ৪৩১ জন। এর পাশাপাশি রাজ্যে একদিনে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৭ হাজার ৪১২ জন। এনিয়ে রাজ্যে মোট সুস্থতার সংখ্যা ৮ লক্ষ ৩২৮ জন। সুস্থতার হার এখনও পর্যন্ত ৮৫.৫৯ শতাংশ। সংক্রমণের বৃদ্ধির মধ্যে এটাই যা আশার খবর, যে রাজ্যে বেড়েছে সুস্থতার হার।

রাজ্যে এই মুহূর্তে অ্যাকটিভ করোনা রোগী ১ লক্ষ ২২ হাজার ৭৭৪ জন। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবারই নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে আগামী ১৫ দিন বাংলায় করোনা সংক্রমণের দাপট বাড়তে পারেন বলে রাজ্যবাসীকে সতর্ক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

এদিন এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন যে, ‘আগামী ১৫ দিন পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। ভয় দেখাচ্ছি না, সবাইকে সতর্ক করছি।নিজেরা সতর্কতা অবলম্বন করুন। অকারণে রাস্তায় বেরোবেন না। মাস্ক পরুন’। রাজ্যবাসীর উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন, ‘বাসে দয়া করে ভিড় করবেন না। একটু হয়তো বাড়তি অপেক্ষা করতে হবে। লোকাল ট্রেন বাতিলের ফলে সাধারণ মানুষ অসুবিধায় পড়বেন জানি, তাই রাজ্য সরকার যথাসাধ্য চেষ্টা করবে। বিনামূল্যে যাতে সবাই রেশন পায় সেই ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে জেলাশাসকদের দেখতে বলেছি।’

দৈনিক আক্রান্তের হিসেবে প্রথম স্থানেই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগণা। এই জেলায় গত একদিন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৯২২ জন। আর মৃত্যুর সংখ্যার নিরিখেও প্রথম স্থানে এই জেলাই। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৩৬ জনের। আর সংক্রমণের নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে থাকা কলকাতায় গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৮৮৭ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩৩ জনের।