শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

দেশের করোনা গ্রাফে বড় পতন! গত ২৪ ঘণ্টায় ফের অনেকটাই কমল সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা

১১:২৪ এএম, নভেম্বর ৩০, ২০২১

দেশের করোনা গ্রাফে বড় পতন! গত ২৪ ঘণ্টায় ফের অনেকটাই কমল সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ দেড় বছরের বেশি সময় কেটে গেলেও, দেশ এখনও করোনার কবল থেকে মুক্ত হতে পারেনি। তার মধ্যেই স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার চেষ্টা জারি রয়েছে। আর সেই লক্ষ্য পূরণের জন্য জোর দেওয়া হচ্ছে টিকাকরণের উপর। এদিকে, দেশের করোনা গ্রাফে ওঠানামা অব্যাহত রয়েছে। তবে, ধীরে ধীরে সুস্থতার পথে ফিরছে দেশ। স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার চেষ্টা করছে দেশ। দেশে এই মুহূর্তে করোনা সংক্রমণ ১০ হাজারের নীচে রয়েছে। তবে, মাঝে মাঝে চিন্তা বাড়াচ্ছে মৃত্যুর সংখ্যা। তবে, গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণ কমার পাশাপাশি একধাক্কায় অনেকটাই কমল করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা। যা বেশ স্বস্তিজনক।  এর পাশাপাশি করোনার নতুন স্ট্রেন ওমিক্রন ভয় ধরাচ্ছে। ভারতে এখনও এই প্রজাতির প্রবেশ না ঘটলেও, ব্রিটেনে ঢুকে পড়ল ওমিক্রন। দু’জন আক্রান্ত এই নয়া স্ট্রেনে।

সোমবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৯৯০ জন। এই সংখ্যাটা আগের দিনের থেকে অনেকটাই কম। গতকাল দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৮ হাজার ৩০৯ জন। এখনও চিন্তায় রাখছে কেরলের কোভিড গ্রাফ।

অন্যদিকে, গতকালের পর কমেছে মৃতের সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৯০ জন। গতকালের থেকে মৃত্যুর সংখ্যাও অনেকটাই কম। গতকাল দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ছিল ২৩৬ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় নিম্নমুখী অ্যাকটিভ কেস। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, অনেকটা কমেছে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা। এই মুহূর্তে সেই সংখ্যা ১ লক্ষ ৫৪৩। পরিসংখ্যান বলছে, গত ৫৪৬ দিনের মধ্যে এটাই সর্বনিম্ন। যা কোভিড গ্রাফে বেশ বড়সড় উন্নতি বলে মনে করছেন স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞরা। করোনার বিরুদ্ধে আশার আলো দেখাচ্ছন করোনাজয়ীরাই। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন একদিনে সুস্থ হয়েছেন ১০ হাজার ১১৬ জন। দৈনিক আক্রান্তের থেকে সুস্থতার সংখ্যা অনেকটাই বেশি। করোনার কবল থেকে সুস্থ রোগীর সংখ্যা মোট ৩ কোটি ৪০ লক্ষ ১৮ হাজার ২৯৯। এ নিয়ে সুস্থতার হার ৯৮.৩৫ শতাংশ।

https://twitter.com/ANI/status/1465534139524808707

করোনা মোকাবিলায় প্রধান অস্ত্র টিকাকরণ। উৎসবের মরশুমে গতি হারিয়েছিল টিকাকরণ। যা ফের স্বাভাবিক হচ্ছে। জোরকদমে চলছে টিকাকরণের কাজ। ডিসেম্বরের মধ্যে যাতে দেশের সমস্ত মানুষ অন্তত প্রথম ডোজ পান, সেই লক্ষ্যে এগোচ্ছে কেন্দ্র। রাজ্যগুলিকেও সেই মর্মে টিকা সরবরাহ করা হয়েছে বলে দাবি। ইতিমধ্যে দেশের ১২৩ কোটি মানুষের টিকাকরণ হয়েছে।

অন্যদিকে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিভিন্ন রাজ্যে খুলছে স্কুল-কলেজ। তবে, সংক্রমণের আশঙ্কায় জমায়েতে এখনও জারি নিষেধাজ্ঞা। এছাড়াও টিকাকরণের পাশাপাশি আগের মতোই চলছে টেস্টিংও। এদিকে সম্প্রতি আইসিএমআর (ICMR) জানিয়ে দিয়েছে, নাগরিকদের বুস্টার ডোজ দেওয়া নিয়ে প্রয়োজনীয় কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি এখনও পাওয়া যায়নি। আইসিএমআরের মতে, জোড়া ডোজ হলেই তা করোনা প্রতিরোধের জন্য যথেষ্ট। সমস্ত নাগরিক যাতে দ্রুত ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজও পান, তা দ্রুততার সঙ্গে করার জন্য কেন্দ্রকে জানানো হয়েছে। ‘ওমিক্রন’ নতুন করে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ছড়িয়ে পড়া স্ট্রেনটি এখনও ভারতে থাবা বসাতে পারেনি। তবে আগে থেকেই সতর্ক স্বাস্থ্যমহল। বিমানবন্দরগুলিতে বিশেষ সতর্ক জারি হয়েছে। রাজ্যগুলিকে নতুন কোভিডবিধি জারির জন্য নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। আজই পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যবসচিব রাজেশ ভূষণ। ওমিক্রন নিয়ে আরও নতুন কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ার সম্ভাবনা।

https://twitter.com/ANI/status/1465529542689185792

এই মুহূর্তে যাঁরা বিদেশ থেকে ফিরছেন, তাঁদের বিমানবন্দরে করোনা পরীক্ষা করে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হচ্ছে। কারও শরীরে ওমিক্রন বাসা বেঁধেছে কি না, জানতে  দ্রুত সেই রিপোর্ট জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য ল্যাবে পাঠানো হচ্ছে। ডিসেম্বরের ১৫ তারিখ থেকে আন্তর্জাতিক উড়ান পরিষেবা চালুর কথা থাকলেও ওমিক্রন আতঙ্কে হয়ত তা ফের পিছিয়ে যেতে পারে ব্লে মনে করা হচ্ছে।