শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

উৎসবের মরশুমে দেশের করোনা গ্রাফে ওঠানামা অব্যাহত! গত ২৪ ঘণ্টায় কমল মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা

১১:১৫ এএম, অক্টোবর ৩১, ২০২১

উৎসবের মরশুমে দেশের করোনা গ্রাফে ওঠানামা অব্যাহত! গত ২৪ ঘণ্টায় কমল মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ উৎসবের মরশুমে খানিকটা স্বস্তি মিলল দেশের করোনা গ্রাফে। আলোর উৎসবের আগেই করোনার দৈনিক সংক্রমণে ওঠানামা অব্যাহত। গতকালই অ্যাকটিভ কেস কমে গত দেড় বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন স্তরে দাঁড়িয়েছিল। আজ ফের তা সামান্য বাড়ল। তবে, অ্যাকটিভ কেস সামান্য বাড়লেও, গত ২৪ ঘণ্টায় কমল করোনার মৃত্যুর সংখ্যা এবং দৈনিক সংক্রমণ। দিওয়ালির আগে যা স্বস্তি স্বাস্থ্যমন্ত্রককে।

রবিবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১২ হাজার ৮৩০ জন। গতকালের থেকে সংক্রমণ অনেকটাই কম। গতকাল দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল করোনা ১৪ হাজার ৩১৩ জন। দেশের মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৩ কোটি ৪২ লক্ষ ৭৩ হাজার ৩০০ জন।

এদিকে, স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডে মৃত্যুর সংখ্যাও অনেকটাই কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪৪৬ জনের। গতকাল দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছিল ৫৪৯ জনের। দেশে এখনও পর্যন্ত করোনার বলি ৪ লক্ষ ৫৮ হাজার ১৮৬ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় নিম্নমুখী করোনার অ্যাকটিভ কেস। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, এই মুহূর্তে দেশে অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যা মোট ১ লক্ষ ৫৯ হাজার ২৭২ জন। গতকাল দেশে অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যা ছিল ১ লক্ষ ৬১ হাজার ৫৫৫ জন। এই পরিসংখ্যানে খানিকটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। প্রতিদিনই একটু একটু করে কমছে সংখ্যাটা। অন্যদিকে, করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আশার আলো যোগাচ্ছেন করোনাজয়ীরাই। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত দেশে ৩ কোটি ৩৬ লক্ষ ৫৫ হাজার ৮৪২ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। যার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ১৪ হাজার ৬৬৭ জন।

https://twitter.com/ANI/status/1454655614496374788

এই মুহূর্তে উপসর্গহীন করোনা রোগীদের চিহ্নিত করতে বেশি তৎপর কেন্দ্র। পরীক্ষার সংখ্যাও তাই বাড়ানো হচ্ছে। জোর দেওয়া হয়েছে অ্যান্টিজেন টেস্টে। বাংলা-সহ একাধিক রাজ্যে পাঠানো হয়েছে প্রচুর Rapid Antigen Test কিট। কারণ, শীত আসছে একদিকে এবং তৃতীয় ঢেউ-এর আশঙ্কাও রয়েছে। আর তার আগে চিকিৎসকদের চিন্তা বাড়াচ্ছে উপসর্গহীন ব্যক্তিরা। এই পরিস্থিতিতে চিঠি দিয়ে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে উৎসবে লাগাম টানার নির্দেশ দিল কেন্দ্রের মোদী সরকার। এদিকে উৎসবের মরশুমে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। বাংলা এবং অসম সরকারকে আলাদা করে সতর্ক করল কেন্দ্র। গত ২৬ অক্টোবর কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব দুই রাজ্যকে চিঠি দিয়ে কঠোর বিধি পালনের পরামর্শ দিয়েছে। সেই সঙ্গে রাজ্যে সংক্রমণের হার বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করেছে কেন্দ্র। বিশেষভাবে নজর দিতে বলা হয়েছে কলকাতা এবং হাওড়ার পরিস্থিতির দিকে। পশ্চিমবঙ্গে নতুন করে কনটেনমেন্ট জোন তৈরি হয়েছে। রাত্রিকালীন বিধিনিষেধ পালিত হচ্ছে আরও কঠোরভাবে।

করোনার মোকাবিলায় টিকাকরণকেই প্রধান হাতিয়ার করা হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য জানাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত দেশে মোট ১০৬ কোটি ১৪ লক্ষ ৪০ হাজার ৩৩৫ জন মানুষ করোনার টিকা দেওয়া পেয়েছেন। সামনেই রয়েছে দীপাবলি এবং শীতের মরশুম।  তার আগে দেশে করোনা টিকাকরণে আরও জোর দেওয়া হয়েছে। কোভ্যাক্সিন, কোভিশিল্ডের সরবরাহও বাড়ানো হচ্ছে। বাংলায় নতুন করে পাঠানো হয়েছে দুটি টিকাই। স্কুল-কলেজ খোলার আগে এ রাজ্যে প্রাপ্তবয়স্কদের বিশেষত যাঁরা শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের টিকাকরণ সম্পূর্ণ করে ফেলার চেষ্টা চলছে জোরকদমে। টিকাকরণের পাশাপাশি আগের মতোই চলছে টেস্টিংও।