শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

একরত্তি শিশুকন্যাকে সূচ ফুটিয়ে নির্মমভাবে হত্যা! মা ও প্রেমিকের ফাঁসির সাজা আদালতের

০৫:৫৭ পিএম, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২১

একরত্তি শিশুকন্যাকে সূচ ফুটিয়ে নির্মমভাবে হত্যা! মা ও প্রেমিকের ফাঁসির সাজা আদালতের

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ বছর চার আগে পুরুলিয়ার সূচ-কাণ্ড দেশব্যাপী হইচই ফেলে দিয়েছিল। সাড়ে তিন বছরের একরত্তি শিশুকন্যার শরীরে একাধিক সূচ ফুটিয়ে ক্ষতবিক্ষত করেছিল, শিশুটির মা এবং তার প্রেমিক। এবার সেই কাণ্ডে দুই অভিযুক্তকে দৃষ্টান্তমূলক সাজা দিল আদালত। শিশুটির মা এবং প্রেমিককে ফাঁসির সাজা শোনাল আদালত। আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়েছে সমাজের বিভিন্ন মহলের মানুষ।

আজ শিশুকন্যাটির মা মঙ্গলা গোস্বামী এবং তার ‘প্রেমিক’ সনাতন ঠাকুর, দু’জনকেই ফাঁসির সাজা দিয়েছেন পুরুলিয়া জেলা আদালতের সেকেন্ড কোর্টের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক রমেশ কুমার প্রধান। সোমবার এই মামলায় মঙ্গলা গোস্বামী এবং সনাতন ঠাকুরকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। কিন্তু ওইদিন রায়দান স্থগিত রাখা হয়। যদিও নৃশংস এবং বিরলতম অপরাধ দাবি করে, ফাঁসির পক্ষেই সওয়াল করে সরকারি আইনজীবী। সেই দাবিকেই এদিন মান্যতা দেয় আদালত। মঙ্গলবার দুই অপরাধীকে খুন এবং ষড়যন্ত্রের ধারায় মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। উল্লেখ্য, প্রায় সাড়ে ৪ বছর ধরে চলেছে এই মামলার বিচারপর্ব।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে ওই খুদের মৃত্যু হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। চিকিৎসা চলাকালীন সেই শিশুর এক্স-রে রিপোর্ট থেকে জানা যায়, খুদের নিম্নাঙ্গ-সহ শরীরের একাধিক জায়গায় সূচ ফুটে রয়েছে। কীভাবে সেই সূচ শিশুকন্যার শরীরে ঢুকল, সেই প্রশ্ন করা হলে, তার কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি শিশুটির মা মঙ্গলা। এতেই সন্দেহ হয় পুলিশের। জেরায় মঙ্গলা জানায়, তিনি সনাতনের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করতেন। সেই সনাতন তাঁর সন্তানের উপর অত্যাচার করেছে। পরে আসল ঘটনা প্রকাশ্যে আসে।

এদিকে ওই সময় পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে পালিয়ে যায় সনাতন। যদিও পড়ে পুলিশের জালে ধরা পড়ে সে। আর সনাতন ধরা পড়তেই আসল ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। পুলিশি জেরায় সে জানায় যে, এই হত্যার নেপথ্যে রয়েছে খোদ শিশুকন্যার মা। জানা যায় যে, দু’জনের সম্পর্কে কাঁটা হয়ে দাঁড়াচ্ছিল মঙ্গলা গোস্বামীর সাড়ে তিন বছরের শিশুকন্যা। তাই পথের কাঁটাকে সরিয়ে দিতেই, এই হত্যা। প্রেমিক সনাতনের সঙ্গে মিলে মঙ্গলা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে, এমনটাই তদন্তে উঠে আসে। পুরুলিয়ার নদীয়াড়া গ্রামের এই ঘটনায় রাজ্যের পাশাপাশি দেশজুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছিল। যদিও এদিনও ফাঁসির সাজা শোনার পরেও নিজেকে নিরপরাধ বলে দাবি করে মঙ্গলা। কিন্তু সনাতন ছিল সম্পূর্ণ নীরব।