বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪

করোনা মোকাবিলায় কত শতাংশ কার্যকরী কোভ্যাক্সিন? তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শেষে উঠে এল সেই তথ্য

০৭:১৫ পিএম, জুন ২২, ২০২১

করোনা মোকাবিলায় কত শতাংশ কার্যকরী কোভ্যাক্সিন? তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শেষে উঠে এল সেই তথ্য

করোনা রুখতে কত শতাংশ কার্যকরী ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন? তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শেষে উঠে এল সেই তথ্য। তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে কোভ্যাক্সিনের কার্যকারিতার প্রমাণ ৭৭.৮%। সূত্রের খবর, কেন্দ্রের বিশেষজ্ঞ কমিটিকে এমনই তথ্য দিয়েছে ভারত বায়োটেক। যদিও এই তথ্য আন্তর্জাতিক স্তরে কোনও জার্নালে এখনও প্রকাশিত হয়নি। জানা গিয়েছে, ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার (ডিসিজিআই) কাছে কোভ্যাক্সিনের তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিকাল ট্রায়ালের তথ্য জমা দেওয়া হয়েছে। আজ, মঙ্গলবার সেই তথ্য পর্যালোচনার জন্য বৈঠকে বসেছে বিশেষজ্ঞ কমিটি।

উল্লেখ্য, দেশজুড়ে ২৫ হাজার ৮০০ জনের উপর এই ট্রায়াল চালানো হয়। এর আগে মার্চ মাসে তৃতীয় পর্যায়ের অভ্যন্তরীণ ট্রায়ালে কোভ্যাক্সিনের ৭৮ থেকে ৮১% কার্যকারিতার কথা বলে ভারত বায়োটেক। অভ্যন্তরীণ ট্রায়ালে প্রথম ও দ্বিতীয়বার যথাক্রমে ৪৩ জন এবং ১২৭ জনের উপর পরীক্ষা করা হয়েছিল। উপসর্গহীন রোগীদের ক্ষেত্রে কোভ্যাক্সিনে কার্যকারিতা ৭০ শতাংশ বলেও দাবি করা হয়েছিল। তবে তৃতীয় পর্যায়ের সর্বশেষ ট্রায়াল শেষে উঠে এসেছে করোনার বিরুদ্ধে কোভ্যাক্সিনের কার্যকারিতা ৭৭.৮%।

প্রসঙ্গত, ভারত বায়োটেকের তরফে গত মাসেই জানানো হয়েছিল, সামনের সেপ্টেম্বরের মধ্যেই WHO-এর অনুমোদন পেয়ে যেতে পারে সংস্থা। তৃতীয় পর্যায়ের অনুমোদন পেলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার EUL(এমার্জেন্সি ইউজ লিস্টিং) পাওয়ার জন্য একধাপ এগিয়ে যাবে ভারত বায়োটেক। সেক্ষেত্রে এই ভ্যাকসিন রপ্তানি করার ছাড়পত্র পেয়ে যাবে সংস্থা। ফলে সহজেই আন্তর্জাতিক স্তরে ভ্যাকসিন পাঠাতে পারবে ভারত বায়োটেক।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় ইতিমধ্যেই প্রয়োজনীয় নথির প্রায় ৯০% শতাংশ জমা করে দিয়েছে সংস্থা। জানা গিয়েছে, বুধবার, চূড়ান্ত নথি জমা করার গাইডলাইন সংক্রান্ত আলোচনার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারে ভারত বায়োটেক কর্তৃপক্ষ। যদিও ভারতে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পর্যায়ে থাকাকালীনই গত বছর জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল কোভ্যাক্সিনকে। আপাতত দেশের সকল মানুষকে ডিসেম্বরের মধ্যে টিকা দেওয়া সম্পূর্ণ করাই লক্ষ্য সরকারের।