শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

অক্টোবরেই শীর্ষ ছুঁতে পারে করোনার তৃতীয় ঢেউ! কমিটির রিপোর্টে শিশু-সুরক্ষা নিয়ে বাড়ছে চিন্তা

০৩:৫৮ পিএম, আগস্ট ২৩, ২০২১

অক্টোবরেই শীর্ষ ছুঁতে পারে করোনার তৃতীয় ঢেউ! কমিটির রিপোর্টে শিশু-সুরক্ষা নিয়ে বাড়ছে চিন্তা

দেশে আছড়ে পড়তে চলেছে করোনার তৃতীয় ঢেউ। অক্টোবরেই শিখর ছুঁয়ে ফেলতে পারে কোভিড থার্ড ওয়েভ। সোমবারই এই সতর্কবার্তা দিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনে থাকা ন্যাশনাল ইনস্টটিটিউট অফ ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সম্প্রতি এই বিষয়ক রিপোর্টও জমা করেছে তারা। সেখানে উল্লেখ রয়েছে, তৃতীয় ঢেউতে প্রাপ্ত-বয়স্কদের মতো শিশুদেরও আক্রান্ত হওয়ার যথেষ্ট ঝুঁকি রয়েছে৷ তাই উন্নত চিকিৎসা কাঠামোর দাবী জানানো হয়েছে। এছাড়াও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে , কোভিড সেকেন্ড ওয়েভের ভুল ত্রুটি থেকে শিক্ষা নিয়ে যাতে অবিলম্বে তৃতীয় ঢেউয়ের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়।

কমিটির ওই রিপোর্টে জানানো হয়েছে, জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহ থেকে দেশের 'আর ভ্যালু' ফের ১-এর উপরে উঠে গিয়েছে। আর-ভ্যালুর মাধ্যমে এক জন আক্রান্তের থেকে আরও কতজন করোনা আক্রান্ত হতে পারেন তা বোঝা যায়। এছাড়াও রিপোর্টে শিশুদের ক্ষেত্রে ঝুঁকির আশঙ্কার উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, প্রচুর সংখ্যক শিশু আক্রান্ত হলে যে হারে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও ভেন্টিলেটর-অ্যাম্বুলেন্সের প্রয়োজন পড়বে, সেই পরিমাণ পর্যাপ্ত ব্যবস্থা যেন থাকে। পাশাপাশি শিশুদের টিকাকরণের বিষয়েও বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে আইআইটি-র একটি গবেষণাতেও দাবি করা হয়েছিল যে, দেশে করোনা সংক্রমণের শীর্ষে উঠবে অক্টোবরেই। এর মধ্যে আবার রাজ্যে থাকবে দুর্গা পুজোর মরশুম। তাই তৃতীয় ঢেউ নিয়ে আগাম সতর্ক রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে গত ১৬ অগাস্ট থেকে রাজ্যে কিছুটা শিথিল হয়েছে কোভিড নিষেধাজ্ঞা। নতুন কোভিড বিধি অনুযায়ী, একশো শতাংশ টিকাকরণ হয়ে গেলে আইটি সেক্টর এবং কল-কারখানাগুলি সমস্ত কর্মীদের নিয়েই কাজ করতে পারবে। পাশাপাশি জাদুঘর, মিনার এবং বিনোদন পার্কগুলি খোলার অনুমতি দিয়ে ৫০ শতাংশ মানুষের প্রবেশাধিকার দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, দেশে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ হাজারের নীচে নেমেছে। কমেছে দৈনিক মৃত্যুও। তবে চিন্তা কিন্তু কমেনি। নীতি আয়োগের তরফে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে, আগামী সেপ্টেম্বরে করোনয় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৪ থেকে পাঁচ লক্ষ হয়ে যেতে পারে। পাশাপাশি প্রতি ১০০ জন আক্রান্তের মধ্যে ২৩ জনকে হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থাও করতে হতে পারে। এখনও পর্যন্ত দেশে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ২৪ লক্ষ ৪৯ হাজার ৩০৬ জন। অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৩ লক্ষ ৩৩ হাজার ৯২৪ জন। মৃত্যু হয়েছে ৪ লক্ষ ৩৪ হাজার ৭৫৬ জনের। সোমবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২৫ হাজার ৭২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যুর সংখ্যা ৩৮৯।