শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

ভোটের বঙ্গে ফের করোনার চোখ রাঙানি! একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা পেরোল ৬০০

১০:২৩ পিএম, মার্চ ২৬, ২০২১

ভোটের বঙ্গে ফের করোনার চোখ রাঙানি! একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা পেরোল ৬০০

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ আগামীকাল রাজ্যে প্রথম দফার ভোট। ২৭ তারিখ প্রথম দফার ভোটে রাজ্যের ৫ জেলায় ভোট রয়েছে। তবে, তার আগেই ফের করোনা সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী রাজ্যে। একদিনে রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৬০০ পার করেছে। এর মধ্যে আবার কলকাতাতেই নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় আড়াইশোর কাছাকাছি। তাই ভোট শুরুর প্রাক্কালে করোনার বাড়বাড়ন্ত নিয়ে চিন্তা বাড়ছে ছাড়া কমছে না।

রাজ্য সরকারের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬৪৬ জন। এর মধ্যে সবথেকে বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন কলকাতার। কলকাতায় আক্রান্তের সংখ্যা ২৩৯ জন। এরপরেই স্থান রয়েছে উত্তর ২৪ পরগণার। সেখানে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫৩ জন।

রাজ্যে বিধানসভা ভোট উপলক্ষে, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের রাজনৈতিক কর্মসূচি, জনসভা, মিছিল লেগেই রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এতে স্বাভাবিকভাবেই মানুষের ভিড়ও হয়। আর এখানেই সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কাও প্রবল হয়।

এদিকে অতিসম্প্রতি রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে, অবিলম্বে করোনার টেস্ট প্রতিদিন ২৫ হাজারে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। এর পাশাপাশি মানুষের গতিবিধির উপর নজরদারিও বাড়ানো হচ্ছে। তবে, এরপরেও কাজ না হলে, আবারও সাধারণ মানুষের গতিবিধির উপর নিয়ন্ত্রণ টানা হতে পারে, এমনটাই জানিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী।

অন্যদিকে, বর্তমান করোনা পরিস্থিতিকে দেখে নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকেও সংক্রমণ রুখতে কড়া নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, কোভিডবিধি না মানলে, নির্বাচনী বুথে ঢুকতে দেওয়া হবে না। বুথে ঢুকতে গেলে, আবিশ্যকভাবে পড়তে হবে মাস্ক এবং ডান হাতে থাকতে হবে গ্লাভস। এই নিয়ম ব্যতীত কেউ যাতে ভোট দিতে না পারে, তা নিশ্চিত করার জন্য বুথকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

কমিশন সূত্রে খবর, প্রতিটি বুথের বাইরে রাখা থাকবে স্যানেটাইজার। আর ডান হাতের জন্য গ্লাভসের ব্যবস্থা করবে খোদ নির্বাচন কমিশন। তবে, ভোট যাঁরা দেবেন, তাঁদের বাঁ-হাত খালিই থাকবে। ওই হাতেই কালি দেওয়া হবে। ভোট দেওয়া শেষ হলে, নির্বাচন কমিশন থেকে দেওয়া গ্লাভস নির্দিষ্ট একটি জায়গায় ফেলতে হবে।

এরপর ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হলে, সেই গ্লাভসগুলি নষ্ট করে ফেলা হবে কমিশনের পক্ষ থেকে। উল্লেখ্য, বিহার বিধানসভা নির্বাচনেও এই ধরনের কড়া করোনাবিধি জারি করা হয়েছিল নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে। এর পাশাপাশি যাঁদের দেহের তাপমাত্রা ১০৪ ডিগ্রির বেশি হলে, তাঁরা সবার সঙ্গে ভোট দিতে পারবেন না। বিকেল ৫টা থেকে ৬.৩০, এই সময়ের মধ্যে তাঁরা ভোট দিতে পারবেন। আবার করোনা আক্রান্তদের জন্যও আলাদা ব্যবস্থা করা হয়েছে।

তাও এতকিছু সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণের পরেও সংশয় এবং আশঙ্কা পিছু ছাড়ছে না। তাছাড়া এই মুহূর্তে দেশের বিভিন্ন জায়গায় করোনা সংক্রমণের হার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। কোথাও কোথাও লকডাউন ঘোষণা করাও হয়েছে। স্কুল, কলেজ বন্ধ রাখা হয়েছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কথাও বলা হচ্ছে বিভিন্নমহল থেকে। এর মধ্যেই বাংলার বিধানসভা নির্বাচন। এই আবহে ভোট চলাকালীন সময়ে এবং তার পরবর্তী সময়ে সামগ্রিক করোনা চিত্রটা ঠিক কীরকম হয়, সেটাই এখন দেখার।