শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

চুমু খাওয়া নিয়েই যাবতীয় সমস্যার সূত্রপাত! স্বামীর হাতে চরম পরিণতি স্ত্রীর

চৈত্রী আদক

প্রকাশিত: জুন ৩০, ২০২২, ০১:৫০ পিএম | আপডেট: জুন ৩০, ২০২২, ০৭:৫০ পিএম

চুমু খাওয়া নিয়েই যাবতীয় সমস্যার সূত্রপাত! স্বামীর হাতে চরম পরিণতি স্ত্রীর
চুমু খাওয়া নিয়েই যাবতীয় সমস্যার সূত্রপাত! স্বামীর হাতে চরম পরিণতি স্ত্রীর

বংনিউজ২৪×৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ আড়াই বছরের ছেলেকে নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর সংসার। ছেলেকে আদর করতে তাকে বারবার চুমু খেতেন স্বামী। এই বিষয়টি একেবারেই পছন্দ ছিল না স্ত্রীর। তাঁর দাবি, বারবার চুমু খেলে মুখের ইনফেকশনে ক্ষতি হতে পারে সন্তানের। তাই স্বামীকে ব্রাশ করে চুমু খেতে বলতেন স্ত্রী। অন্যান্য দিনের মতো মঙ্গলবার রাতেও ছেলেকে চুমু খেতে যান স্বামী। সেদিনও স্বামীকে বাধা দেন স্ত্রী। বলেন মুখ ধুয়ে আসতে। আর সেই নিয়ে শুরু হয় কথা কাটাকাটি যা নিমেষের মধ্যে পরিণত হয় বচসায়। এরপর যা ঘটে তা শুনলে শিউরে উঠবেন আপনিও।

ঘটনাটি কেরলের পালাক্কাডের। মঙ্গলবার রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বচসা চরম আকার ধারণ করে। এরপরই রাগের বসে স্ত্রীকে ছুরি দিয়ে আক্রমণ করেন স্বামী। স্ত্রীর পেটে লাগাতার ছুরির আঘাত করেন। অতঃপর গুরুতর যখন হয় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন স্ত্রী। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত মহিলার নাম দীপিকা। তাঁকে খুন করার অভিযোগ ওঠে স্বামী অবিনাশের বিরুদ্ধে। এরপর খুনের অপরাধে অবিনাশকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাতে ছেলেকে চুমু খেতে অবিনাশকে বাধা দিয়েছিলেন দীপিকা।‌ সেই নিয়ে শুরু হয় বাগবিতণ্ডা। তবে পারস্পরিক বচসা থেকে অবিনাশ যে এমন চরম পদক্ষেপ নেবে তা কল্পনাতীত ছিল। অভিযোগ, রাগের বশবর্তী হয়ে দীপিকার পেটে ছুরি চালিয়ে দেন তিনি। যন্ত্রণায় চিৎকার করতে শুরু করেন দীপিকা। এরপর তাঁর চিৎকার শুনে ছুটে আসেন এলাকাবাসীরা। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যান হাসপাতালে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। গভীর ক্ষত তৈরি হওয়ায় প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছিল। যার ফলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই মৃত্যু হয় দীপিকার।

অন্যদিকে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয় এলাকাবাসীরাই। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। গ্রেফতার করে অভিযুক্তকে। পুলিশ জানিয়েছে, অবিনাশ কর্মসূত্রে বেঙ্গালুরুতে থাকেন। তবে মাস দুয়েক আগে বেঙ্গালুরু থেকে পালাকাড্ডে ফিরেছিলেন। স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে ভালোই কাটছিল দিন। কিন্তু সন্তানকে চুমু খাওয়া নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর বচসার পরিণতি যে এতটা ভয়ঙ্কর হবে তা কেউ ভাবতে পারেনি। গোটা ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।