বুধবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪

রান্নাঘরে বিশাল গর্ত, সম্পত্তির লোভে মামার প্রাণ নিতে ঢালাও পরিকল্পনা ভাগ্নের! ঘটনায় চাঞ্চল্য নদীয়ায়

চৈত্রী আদক | মলয় দে

প্রকাশিত: এপ্রিল ২১, ২০২২, ০৬:০৫ পিএম | আপডেট: এপ্রিল ২২, ২০২২, ১২:০৫ এএম

রান্নাঘরে বিশাল গর্ত, সম্পত্তির লোভে মামার প্রাণ নিতে ঢালাও পরিকল্পনা ভাগ্নের! ঘটনায় চাঞ্চল্য নদীয়ায়
রান্নাঘরে বিশাল গর্ত, সম্পত্তির লোভে মামার প্রাণ নিতে ঢালাও পরিকল্পনা ভাগ্নের! ঘটনায় চাঞ্চল্য নদীয়ায়

বংনিউজ২৪×৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ সম্পত্তির লোভ মানুষকে যে কত নীচে নামাতে পারে তার বহু নিদর্শন রয়েছে। এবার সম্পত্তি হাতাতে মামাকে খুন করে মেঝেতে পুঁতে দেওয়ার পরিকল্পনার অভিযোগ উঠল ভাগ্নের বিরুদ্ধে। ঘর থেকে অচৈতন্য অবস্থায় মামাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

এই চাঞ্চল্যকর ঘটনার সাক্ষী নদীয়ার রানাঘাট। বুধবার এই ঘটনার জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় নদিয়ার রানাঘাট থানার অন্তর্গত কুপার্স পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডে। জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম মন্টু শিকদার, বয়স ৫৫। অন্যদিকে ৩৫ বছর বয়সী অভিযুক্ত ভাগ্নের নাম বিপুল মন্ডল। ঘটনার পর ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে গেলেও নদীয়ার গাংনাপুর থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে রানাঘাট থানার পুলিশ।

মামাকে হত্যা করতে কী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন তিনি? স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মামা মন্টু শিকদারের সঙ্গে একই বাড়িতে থাকতেন বিপুল মন্ডল। বিগত কয়েকদিন ধরেই মন্টু শিকদারকে দেখা যাচ্ছিল না পাড়ায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই পাড়া-প্রতিবেশীর মনে সন্দেহের সঞ্চার হয়। বুধবার প্রতিবেশীরা তাঁর খোঁজখবর শুরু করলে বিপুল মন্ডল-এর কথায় অসঙ্গতি ধরা পড়ে। এরপরই বেগতিক বুঝে ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যান বিপুল মন্ডল।

অন্যদিকে খোঁজাখুঁজি করতে করতে বাড়ির একটি বন্ধ ঘর থেকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয় মন্টু শিকদারকে। উদ্ধার করে কুপার্স থানার পুলিশ। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে। সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।

তল্লাশি চালিয়ে বুধবার রাতেই গাংনাপুর থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে রানাঘাট থানার পুলিশ। স্থানীয় এলাকাবাসী ও মৃত ব্যক্তির পরিবারের অভিযোগ, মামার দেহ লোপাট করতেই রান্নাঘরের মেঝে খুঁড়ে কবর দিতে চেয়েছিলেন ভাগ্নে। তার উদ্দেশ্য ছিল মামার বিপুল সম্পত্তি আত্মসাৎ করা। যার জেরেই এই মর্মান্তিক কাণ্ড ঘটিয়ে বসেন তিনি।

এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছে অভিযুক্তর নাবালিকা মেয়েও। সে জানিয়েছে, কয়েকদিন আগেই দু‍‍`জন‌ লোক এসে তার দাদুকে মিষ্টি খাওয়ায়। তারপর থেকেই দাদু অসুস্থ বোধ করতে শুরু করেন। সে বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলে, দাদুকে ঠিকঠাক করে খেতেও দেওয়া হত না। তার বাবাই যে রান্নাঘরে গর্ত খুঁড়েছে সেই বিষয়টিও জোর দিয়ে জানায় সে। প্রত্যেকের বয়ানের ওপর ভিত্তি করে শুরু হয়েছে তদন্ত।