মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪

উত্তরপ্রদেশে গণধর্ষণের শিকার বছর তেরোর নাবালিকা মেয়ের চিকিৎসা করাতে গিয়ে মৃত্যু বাবার

০৬:০৪ পিএম, মার্চ ১০, ২০২১

উত্তরপ্রদেশে গণধর্ষণের শিকার বছর তেরোর নাবালিকা মেয়ের চিকিৎসা করাতে গিয়ে মৃত্যু বাবার

বংনিউজ২৪x৭ডিজিটাল ডেস্কঃ নারী নির্যাতনের খবরে বারবার উঠে আসছে উত্তরপ্রদেশের বাম। একের পর এক নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেই চলেছে উত্তরপ্রদেশে। এবার বছর ১৩-র এক নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল উত্তরপ্রদেশের কানপুরে। শুধু তাই নয়, এই ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মেয়ের চিকিৎসা করাতে নিয়ে গেলে গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হল বাবার।

ওই নাবালিকার দাদু অভিযোগ করেছেন যে, গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হওয়ার কারণেই শাস্তি হিসেবে, ইচ্ছে করেই তাঁর ছেলেকে গাড়ির ধাক্কা দিয়ে খুন করা হল। সংবাদমাধ্যমের সামনে এমনটাই অভিযোগ করেছেন ওই বৃদ্ধ। পাশাপাশি পুলিশি নিস্ক্রিয়তার অভিযোগও উঠছে।

ওই নাবালিকার পরিবার সূত্রে খবর, এই গণধর্ষণ কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত গলু যাদবের বাবা উত্তরপ্রদেশ পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর। বর্তমানে তিনি কানপুর দূরে, কনৌজ জেলায় কর্মরত। নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ, পুলিশের কাছে তাঁদের মেয়ের ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করার পরই, ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ গলু যাদবকে গ্রেফতার করে। এরপর থেকেই গলুর দাদা এবং তার পরিবারের অন্যান্যদের পক্ষ থেকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। গলুর দাদা হুমকি দিয়ে বলেছিল ‘সাবধানে থাকুন। আমার বাবা পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর।’

নির্যাতিতার পরিবারের দাবি, বুধবার কিশোরীর যখন শারীরিক পরীক্ষা চলছিল, তখন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বাইরে চা খেতে বেরিয়েছিলেন তাঁর বাবা। সেই সময়ই হঠাৎ করেই একটি ট্রাক এসে তাঁকে ধাক্কা মেরে পালিয়ে যায় ঘটনাস্থল থেকে। পথচারীরা সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে উদ্ধার করে, কানপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষরক্ষা করা সম্ভব হয়নি। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। কানপুর পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিক প্রীতিন্দর সিং জানিয়েছেন যে, দুর্ঘটনার পর পুলিশের পক্ষ থেকে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।

এদিকে, পুলিশের আরও এক পদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, কিশোরীর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই গণধর্ষণের তদন্ত শুরু হয়েছে। ধর্ষিতা তরুণীর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। ঘটনার তদন্তের জন্য পাঁচ সদস্যের বিশেষ দল (SIT) গঠন করা হয়েছে। এর পাশাপাশি কিশোরীর বাবার মৃত্যু তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব ঘাতক ট্রাক এবং তার চালককে গ্রেফতার করা হবে।