শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

কেন্দ্রের নয়া কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে যন্তরমন্তরে কৃষক বিক্ষোভ! নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় মুড়ল দিল্লি

০১:০৫ পিএম, জুলাই ২২, ২০২১

কেন্দ্রের নয়া কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে যন্তরমন্তরে কৃষক বিক্ষোভ! নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় মুড়ল দিল্লি

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ সংসদের অধিবেশন শুরু হতেই ফের একবার কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে সরব হলেন কৃষকরা। তবে এবার আর দিল্লি সীমান্তে নয়, খোদ দিল্লির বুকেই প্রতিবাদ দেখাবেন তাঁরা। কেন্দ্রের নয়া তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে আজ যন্তরমন্তরে বিক্ষোভ দেখাবেন প্রতিবাদী কৃষকরা। কেন্দ্রের আনা নয়া কৃষি আইন নিয়ে সরকারের উপর চাপ বাড়াতে সংসদের অধিবেশন চলাকালীন রাজধানীতে প্রতিবাদের ঝড় তুলতে চায় কৃষক সংগঠনগুলি।

তবে, কেন্দ্র সরকারও সবরকমভাবে প্রস্তুত এই প্রতিবাদ বিক্ষোভ সামাল দেওয়ার জন্য। বিক্ষোভ প্রতিহত করতে কার্যত দিল্লিকে দুর্গে পরিণত করা হয়েছে। রাজধানীকে মুড়ে ফেলা হয়েছে নিরাপত্তার চাদরে।

উল্লেখ্য, কৃষি আইনের প্রতিবাদে কৃষক সংগঠনগুলিকে যন্তরমন্তরে বিক্ষোভ প্রদর্শনের অনুমতি দিয়েছে দিল্লি সরকার। বৃহস্পতিবার থেকেই দিল্লির যন্তরমন্তরে সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৫টা অবধি কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলন করতে পারবেন তাঁরা, তবে এবার মেলেনি কোনও প্রতিবাদ মিছিলের অনুমতি। তবে, অতি অবশ্যই করোনাবিধি মেনেই এই বিক্ষোভ প্রদর্শনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রজাতন্ত্র দিবসের বিশৃঙ্খলার কথা মাথায় রেখেই, এবারের কৃষকদের আন্দোলনে একাধিক বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। পাশাপাশি কৃষক বিক্ষোভের জেরে যাতে কোনও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়, সেদিকে খেয়াল সবসময় নজর রাখছে দিল্লি পুলিশ। আসলে পূর্বের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে, নিরাপত্তায় যাতে কোনও ফাঁক না থাকে, সেটাই দেখছে প্রশাসন।

জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই, যন্তরমন্তরের সুরক্ষা ব্যবস্থা ঘুরে দেখেছেন দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল সিপি (ক্রাইম) সতীশ গোলচা এবং জয়েন্ট সিপি জশপাল সিং। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে ভোর থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশালবাহিনী। টিকরি, সিঙ্ঘু সীমানায় চলছে কড়া পুলিশি নজরদারি।

এদিকে, যন্তরমন্তরের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার অর্থাৎ আজ ভোর রাত থেকেই সিঙ্ঘু, টিকরি সীমানায় জড়ো হন অগণিত কৃষকরা। নেতৃত্ব রয়েছেন বিকেইউ নেতা রাকেশ টিকায়েত। কৃষক নেতা প্রেমসিং ভাঙ্গু জানিয়েছেন, তাঁদের পরবর্তী লক্ষ্য উত্তরপ্রদেশ। সেখানে বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে সরাতে চান তাঁরা। সেখানে বিজেপিকে পরাস্ত করার উদ্দেশ্য নিয়েই তাঁদের এরপরের লক্ষ্য উত্তরপ্রদেশ।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গতকাল বিকেলেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানান যে, আগামিকাল অর্থাৎ আজ থেকে দিল্লির যন্তরমন্তরে কিষান সংসদ গঠনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, সংসদের অনুকরণেই এই কিসান সংসদ গঠন করা হয়েছে। কেবল সেখানে বিতর্কিত তিন কৃষি আইন নিয়ে আলোচনা করা হবে। আগামী ১৩ অগস্ট অবধি চলবে এই প্রতিবাদ কর্মসূচি।