শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

ওমিক্রন সবাইকে মেরে ফেলবে! আশঙ্কা থেকেই ২ সন্তান সহ স্ত্রীকে মেরে ফেললেন চিকিৎসক

০৯:১৮ পিএম, ডিসেম্বর ৪, ২০২১

ওমিক্রন সবাইকে মেরে ফেলবে! আশঙ্কা থেকেই ২ সন্তান সহ স্ত্রীকে মেরে ফেললেন চিকিৎসক

ওমিক্রন সবাইকে মেরে ফেলবে! এই আশঙ্কা থেকে নিজের স্ত্রী ও দুই সন্তানকে খুন করলেন এক চিকিৎসক। খুনের পর নিজের ভাইকে মেসেজ করে বিষয়টি জানান তিনি। বাড়িতে পুলিশও ডাকার কথা বলেন। তবে পুলিশ নিয়ে ভাই তাঁর বাড়িতে আসার আগেই সেখানে চম্পট দেন ওই চিকিৎসক। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের কানপুরে।

হত্যার পর ঘটনাস্থল থেকে একটি ডায়রি উদ্ধার করে পুলিশ। সেখান থেকেই জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত চিকিৎসকটি করোনাভাইরাসের নতুন প্রজাতি ওমিক্রন নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন ছিলেন। স্ত্রী ও সন্তানদের হত্যার কারণ হিসেবে ডায়েরিতে লেখা ছিল, "ওমিক্রন সবাইকে মেরে ফেলবে। আমার অসতর্কতার কারণে আমি এমন এক জায়গায় আটকে গেছি যেখান থেকে পালানো কঠিন। আমি লাশ গুনতে গুনতে ক্লান্ত।" আপাতত ঘটনাস্থল থেকে ৩ জনের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ওই চিকিৎসকের নাম সুশীল কুমার। কানপুরের রামা মেডিকেল কলেজে পড়াশোনা শেষ করে সেখানেই ফরেন্সিক বিভাগে কর্মরত ছিলেন তিনি। ৪৮ বছর বয়সী স্ত্রী এবং ১৫ ও ১৮ বছর বয়সী দুই সন্তানের সঙ্গে যে বাড়িতে তিনি থাকতেন সেখানেই ৩ জনকে খুন করেন সুশীল। এরপর তার ভাইকে মেসেজও করেন। পুলিশকে ডাকার কথাও বলেন। তবে ভাই ঘটনাস্থলে এসে দেখেন দাদা ততক্ষণে ফেরার।

পুলিশ আরও জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া ডায়রির লেখা অনুযায়ী, অভিযুক্ত চিকিৎসকট মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। সেই কারণে আর চাপ নিতে না পেরেই পরিবারের সকলকে হত্যা করেন তিনি। সেজন্য তিনি নিজেকে কোনওদিন ক্ষমা করতে পারবেন না এমনটাও লিখেছেন সেই চিকিৎসক। তবে এছাড়া আর কোনও উপায়ও খুঁজে পাননি। তাই খুনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

ডায়রি ছাড়াও ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থল থেকেই উদ্ধার হয়েছে রক্তমাখা একটি হাতুড়ি। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে ঘটনাটি কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে৷