শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

‘বিরোধীরা চায় সংসদ চলুক, কিন্তু সরকার ক্রমাগত বাধা দিচ্ছে’, টুইটে ফের সরব ডেরেক

১২:৫৩ পিএম, আগস্ট ৪, ২০২১

‘বিরোধীরা চায় সংসদ চলুক, কিন্তু সরকার ক্রমাগত বাধা দিচ্ছে’, টুইটে ফের সরব ডেরেক

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ এবারের সংসদের বাদল অধিবেশন বিরোধীদের বারবার বিক্ষোভের কারণে স্তব্ধ হয়ে যাচ্ছে। বারবার মুলতুবি হচ্ছে অধিবেশন। কখনও কেন্দ্রের নয়া তিন কৃষি আইন, তো আবার কখনও পেগাসাস ইস্যুতে সংসদের অধিবেশন মুলতুবি হয়ে যাচ্ছে। গতকালই বিরোধীদের এই আচরণের তুমুল সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সমালোচনায় বিঁধলেন তৃণমূলের সাংসদদের। তাঁদের এই আচরণকে ‘সংসদের জন্য অপমানজনক’ বলেও অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

এবারের সংসদের বাদল অধিবেশন শুরুর দিন থেকেই উত্তপ্ত। নানা বিষয়কে কেন্দ্র করে সরকারের বিরুদ্ধে সংসদের ভিতরে এবং বাইরে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। এর জেরেই বারবার মুলতুবি হয়েছে অধিবেশন। এই কারণেই প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেছিলেন যে, বিরোধীরা সংসদ অচল করতে চাইছে। তবে, প্রধানমন্ত্রীর সব অভিযোগ নস্যাৎ করে ফের একবার টুইটে কেন্দ্রের মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সরব হলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন। স্পষ্ট ভাষায় তিনি তুলে ধরলেন বিরোধীদের দাবিদাওয়া।

টুইটে ডেরেক লেখেন, ‘বিরোধীরা চায় সংসদ চলুক। কিন্তু সরকার ক্রমাগত বাধা দিচ্ছে।’ বিরোধীদের দাবিগুলি কী কী তাও তিনি টুইটে তুলে ধরেছেন। তিনি টুইটে উল্লেখ করেছেন যে, কেন্দ্রের নয়া তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার, মূল্যবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান, আর্থিক মন্দা এবং পেগাসাস এইসব ইস্যুতে আলোচনা চায় বিরোধীরা।

https://twitter.com/derekobrienmp/status/1420281653881155586

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মঙ্গলবারই সংসদ মুলতুবি প্রসঙ্গে বিরোধীদের বিরুদ্ধে সমালোচনায় সরব হন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অধিবেশনের শুরুতেই তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন তথ্যপ্রজুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের হাত থেকে কাগজ কেড়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলেছিলেন। এই ঘটনারও তীব্র নিন্দা করেন নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, ‘দুই কক্ষের বিরোধীদের আচরণ সংসদকে অপমান করেছে। যিনি মন্ত্রীর হাত থেকে কাগজ ছিনিয়ে নিয়ে ছিঁড়ে দিয়েছিলেন, তিনি নিজের কাজের জন্য বিন্দুমাত্রও অনুতপ্ত নন।’ এই ঘটনার পর রাজ্যসভায় প্রস্তাব পাশ করে পুরো বাদল অধিবেশনে থেকে সাসপেন্ড করা হয় শান্তনু সেনকে। শুধু যে শান্তনু সেন তাই নয়, মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী সমালোচনা করেন আরেক তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েনেরও। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ‘এক তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন বিল পাশ সংক্রান্ত একটি টুইট করেন। যারা সাংসদদের নির্বাচন করেছিলেন, এটা তাঁদের জন্য অপমানজনক।’

আসলে সংসদে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিল পাশ করা নিয়ে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন, সাংসদ তথা রাজ্যসভায় তৃণমূল দলনেতা ডেরেক ও ব্রায়েন। তিনি বাদল অধিবেশনে পাশ হওয়া বিল এবং সেই বিল পাশের সময়সীমা তুলে ধরেছিলেন। সেই সঙ্গে মন্তব্য করেছিলেন যে, ‘সংসদে বিল পাশ করছেন নাকি পাপড়ি চাট বানাচ্ছেন।

মঙ্গলবার অধিবেশন শুরু আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা-সহ বিজেপির সংসদীয় কমিটির অন্যান্য শীর্ষ নেতা-মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই দুই তৃণমূল সাংসদের কার্যকলাপের তীব্র নিন্দা করেন মোদী। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটা সংবিধানের অবমাননা, গণতন্ত্রের অবমাননা এবং সাধারণ মানুষের অবমাননা। বিরোধীরা তাঁদের ব্যবহারে সংসদের উভয় কক্ষকেই অসম্মানিত করেছেন।’

উল্লেখ্য, গতকালই বিজেপির সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী এবং রাজ্যসভার সাংসদ মুখতার আব্বাস নকভি বলেন, ‘আমাদের কোনও তাড়া নেই। প্রতিটি বিল নিয়ে আমরা আলোচনা করতে রাজি। কিন্তু তৃণমূল সাংসদের পাপড়ি চাট মন্তব্য অত্যন্ত অপমানজনক। এই মন্তব্যের জন্য সকলের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত।’ এর পরিপ্রেক্ষিতেই এদিন ফের টুইটে সরব হলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন।