বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

শুধু বাংলাতেই নয়, বিশ্বজুড়ে ভিন্ন ভিন্ন রূপে পূজিতা হন দেবী সরস্বতী!

০৩:৩১ এএম, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২১

শুধু বাংলাতেই নয়, বিশ্বজুড়ে ভিন্ন ভিন্ন রূপে পূজিতা হন দেবী সরস্বতী!
বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। আর শীতের পার্বণগুলির মধ্যে অন্যতম উৎসব হল, সরস্বতী পুজো। হাতে মাত্র কয়েকটা দিনই বাকি। তারপরই মর্তে আসবেন বাগ দেবী। তাঁর আরাধনায় মেতে উঠবেন বাঙালি। তবে শুধু বাঙালিরাই নন, বিশ্বে বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন রূপে বন্দনা করা হয় দেবীকে। হিন্দু ধর্মের মানুষ ছাড়াও বহু মানুষই সামিল হন তাতে। আজ জেনে নেব দেবীর সেই রূপগুলির কথাই... দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-‌পূর্ব এশিয়ার নানা দেশে বিদ্যার দেবী হিসেবে পূজিতা হন সরস্বতী। ভারতের মতোই থাইল্যান্ডেও জ্ঞান এবং বিদ্যার দেবী মানা হয় সরস্বতীকে। তবে সেখানে গায়ের রঙের তারতম্য লক্ষ্য করা যায়। থাইল্যান্ডে দেবীর গায়ের রঙ সাদা নয়, বরং সবুজ। বাহন হিসাবে হাঁসের বদলে থাকে ময়ূর। আবার আমেরিকায় অবস্থিত ইন্দোনেশিয়ার দূতাবাসের সামনেও জ্ঞানের স্বারক হিসেবে দেবী সরস্বতীর মূর্তি দেখা যায়। তিব্বতে সরস্বতী হলেন সঙ্গীতের দেবী। সেখানে তাঁর নাম 'ইয়াং চেন'। মা সরস্বতীকে সেখানে তান্ত্রিক বৌদ্ধধর্মের সঙ্গে মিলিয়ে ২১ জন তারার অন্যতম দেবী মঞ্জুশ্রীর সঙ্গে বর্ণনা করা হয়। জাপানেও তিনি সুর ও সঙ্গীতের অধিষ্ঠাত্রী দেবী। সেখানে দেবীর হাতে থাকে বাদ্যযন্ত্র ম্যান্ডোলিন। তাঁকে ডাকা হয় বেনজাইতেন বলে। কম্বোডিয়াতে মা সরস্বতী পরিচিতা বাগেশ্বরী এবং ভারতী নামে। কম্বোডিয়ার পুরাণ অনুযায়ী, দেবী সেখানে বিবাহিতা। প্রজাপতি ব্রহ্মা তাঁর স্বামী। আবার ইন্দোনেশিয়ায় একটি গোটা দিনই দেবী সরস্বতীর নামে পালিত হয়। বিশেষ এই দিনটিকে 'ডে অফ সরস্বতী' নামাঙ্কিত করা হয়েছে। এছাড়াও বালি দ্বীপে বসবাসকারী হিন্দুধর্মালম্বী মানুষরাও মা সরস্বতীর বন্দনা করেন।