বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

‘টিএমসি থেকে আলাদা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়!’ কেন একথা বললেন দিলীপ ঘোষ?

০৪:১৫ পিএম, জানুয়ারি ১৬, ২০২২

‘টিএমসি থেকে আলাদা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়!’ কেন একথা বললেন দিলীপ ঘোষ?

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ দিলীপ ঘোষ মানেই বিতর্কিত মন্তব্য। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ- সভাপতি কোনও বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করবেন না, এটা ভাবাই যায় না। রবিবার ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে এসে তৃণমূল সাংসদ-বিধায়কদের কোন্দল প্রসঙ্গে নাম না করে এমনই তোপ দাগলেন দিলীপ ঘোষ। বললেন, ‘মন্ত্রী-মহামন্ত্রীদের মধ্যে মারমারি  টিএমসি-র কালচার’! সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্ষোভের কথা দলের ভেতরে জানানোর যে বার্তা তৃণমূলের কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র দিয়েছেন, সে বিষয়ে  দিলীপের কটাক্ষ, ‘কাকে, কোথায় ক্ষোভের কথা বলবেন? যাঁরা শুনবেন তারাই তো পরস্পরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন। শুনবেন কে?’

আবার এই প্রসঙ্গে বিজেপির সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের দলীয় ক্ষোভ নিয়ে বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের পার্থক্যও তুলে ধরেন তিনি। তিনি ঘুরিয়ে তৃণমূল নেতাদের কটাক্ষ করে বলেন যে, ‘আমাদের এখানে মন্ত্রী-মহামন্ত্রীদের মধ্যে মারমারি হয় না। কেউ কাউকে মাতাল, ছিটেল, জেলখাটা আসামী বলবে, সেটা হয় না। এরকম কালচার আমাদের পার্টিতে নেই।’ আবার এদিন তৃণমূলের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কেও একহাত নেন। বর্তমানে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নীরবতা প্রসঙ্গে দিলীপের কটাক্ষ, ‘উনি কিছু না বললে তো অসুস্থ হয়ে যাবেন। কিছু বলুন শরীর ঠিক থাকবে।’

এসবের পাশাপাশি রাজ্যে করোনা পরীক্ষা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানো প্রসঙ্গে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর টিমকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি। হরিণঘাটায় এক শিক্ষকের পুত্রসন্তানকে অপারেশন করানো নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের টিমের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েও দিলীপের তোপ, ‘ওই টিমকে রাজ্য চালানোর দায়িত্ব দেওয়া হোক। তারা ভ্যাকসিনেশন করেছে। সারা রাজ্যে টেস্ট হয়েছে ৬০ হাজার আর ডায়মণ্ড হারবারে ৫৩ হাজার টেস্ট হয়েছে। সারা ভারতের থেকে আলাদা পশ্চিমবঙ্গ, পশ্চিমবঙ্গে থেকে আলাদা ডায়মণ্ড হারবার। আর টিএমসি থেকে আলাদা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।’ এর সঙ্গে তিনি আরও বলেন যে, ‘এই মেসেজ গেলে কার উপকার হবে? সাংসদ হিসাবে, নেতা হিসাবে বড় হতে পারেন কিন্তু দেশ বা সমাজের কোনও উপকার হবে না।’

এছাড়াও, প্রজাতন্ত্র দিবসে পশ্চিমবঙ্গের ট্যাবলো বাদ যাওয়া নিয়ে রাজ্যের উপরে দোষ চাপিয়ে দিয়েছেন মেদিনীপুরের এই বিজেপি সাংসদ। তিনি বলেন, ‘তৃণমূল এমনভাবে ট্যাবলো করে যাতে বাদ যায়, খবর হয় এবং রাজনীতি হয়। রাজনীতি করার জন্যই ট্যাবলো করে।’

অন্যদিকে, পুরভোট অন্তত একমাস উচিত বলেও মনে করেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর মতে, ‘ভোটের নির্দিষ্ট তারিখ ঠিক করে দেওয়া উচিত নয়। করোনার জন্য হাইকোর্ট ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ ভোট পিছোতে বলেছিল। কমিশন আধা মেনেছে। ৩ সপ্তাহ পিছিয়েছে। এর মধ্যে সব ঠিক হয়ে যাবে তা নিশ্চিত করে বলতে পারবে না সরকার। অন্তত একমাস ভোট পিছোনো উচিত।’