বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

সদ্য সরানো হয়েছে পদ থেকে, চেনা মেজাজে তাঁর উত্তরসূরীকে কী বার্তা দিলেন দিলীপ ঘোষ?

১০:২৭ এএম, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২১

সদ্য সরানো হয়েছে পদ থেকে, চেনা মেজাজে তাঁর উত্তরসূরীকে কী বার্তা দিলেন দিলীপ ঘোষ?

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ রাজ্য বিজেপিতে আচমকাই বড় পরিবর্তন ঘটে গেল। গতকালই রাজ্য বিজেপির সভাপতি পদ থেকে সরানো হয়েছে দিলীপ ঘোষকে। তাঁকে পাঠানো হল দলের জাতীয় সহ সভাপতির পদে। আর তাঁর জায়গায় বিজেপির নতুন রাজ্য সভাপতি হলেন বালুরঘাটের সাংসদ ড. সুকান্ত মজুমদার। রাজ্যের নতুন বিজেপি সভাপতিকে শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন বিদায়ী সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

এদিনও তাঁকে অন্যান্য দিনের মতোই চেনা মেজাজেই নিউটাউনে প্রাতঃভ্রমণ করতে দেখা যায়। সাংবাদিকদের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে নিজের নয়া পদ নিয়ে তিনি সেই চেনা ছন্দে, ভরপুর আত্মবিশ্বাসের সুরে বললেন, ‘আমার অভিজ্ঞতা বেড়েছে বলে আরও দায়িত্ব দেওয়া হল। সরিয়ে দেওয়া হয়নি।’ পাশাপাশি এও স্পষ্ট করলেন যে, বিজেপি নতুন রাজ্য সভাপতি হিসাবে সুকান্ত মজুমদারের নাম তিনিই দলের কাছে সুপারিশ করেছিলেন। এদিন তিনি বলেন যে, ‘কয়েকজনের নাম দিয়েছিলাম দলের কাছে। তাঁদের মধ্যে সুকান্ত একজন।’ বিজেপির নতুন রাজ্য সভাপতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন যে, ‘প্রথম কলকাতার বাইরে নেতা বিজেপি রাজ্য সভাপতি হলেন। খুব ভালো বিষয় সেটা। উত্তরবঙ্গের জন্য ভালো হল।’ জানা গিয়েছে যে, আজই সুকান্ত মজুমদার সকালে ট্রেনে কলকাতায় পৌঁছেছেন।

সুকান্ত মজুমদার প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের আরও বক্তব্য, ‘ও বুদ্ধিমান শিক্ষিত ছেলে, ভাল কাজ করবে।’ এর পাশাপাশি বাংলার রাজনীতিতে নিজের ভূমিকা নিয়ে দিলীপ ঘোষের স্পষ্ট বার্তা, ‘আমি এখানে এখানে সাংসদ। একজন সাধারণ কর্মী হিসাবে কাজ করব। আমার কর্মক্ষেত্র পার্টি ঠিক করবে। আমার জীবন সাধারণ আছে। আমি পার্টির জন্য কাজ করি।’ আবার বাবুল সুপ্রিয় প্রসঙ্গে ফের একবার বলেন যে, ‘বাবুল কেন, আমি এখনও বলছি অনেকেই যাবেন। তবে তাতে দলের কোনও ক্ষতি হবে না।’

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে বিজেপির নতুন রাজ্য সভাপতি হিসেবে বাছাই করা হয়েছে সুকান্ত মজুমদারকে। যদিও, রাজনীতির আঙিনায় সুকান্ত মজুমদারের সফর খুব বেশি দীর্ঘ নয়। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে বালুরঘাট আসন থেকে জয়লাভ করার পরই তাঁর প্রচারের আলোয় উঠে আসা। সেখান থেকে আজ রাজ্য বিজেপির প্রধান হলেন সুকান্ত।

অন্যদিকে, রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বঙ্গ বিজেপির একটা বৃহৎ অংশ দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বকে মিস করবেন। প্রতিপক্ষকে চাঁছাছোলা ভাষায় আক্রমণ, কোনও পরোয়া না করার মনোভাব, তাঁর মেজাজ সবকিছুই কর্মীদের উৎসাহ দিত। কীভাবে কর্মীদের আরও বেশি করে দলের কাজে উদ্বুদ্ধ করা যায়, কীভাবেই বা হাওয়া গরম করা যায়, তা এই ক’বছরে তা প্রত্যক্ষ করেছে বাংলা। গেরুয়া শিবিরে তাঁর ভূমিকা বা অবদান বিশেষ করে রাজ্য রাজনীতিতে অস্বীকার করার কোনও জায়গা নেই। যেভাবে গত কয়েক বছরে বিজেপি বাংলায় জায়গা করে নিয়েছে, গত লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে বাংলায় দলের উত্থানের সিংহভাগ কৃতিত্বই দিলীপ ঘোষের। সেই তিনিই এই মুহূর্তে বাংলায় ‘পদ বিহীন’। তবে, দিলীপ ম্যাজিক ভুলবে না দল। এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।