শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

‘সরকারের কুকীর্তি প্রকাশ্যে যাতে না আসে তাই এই ব্যবস্থা’, পিএসি'র চেয়ারম্যান পদে মুকুলের নাম ঘোষণায় কটাক্ষ দিলীপের

০৯:৩৭ এএম, জুলাই ১০, ২০২১

‘সরকারের কুকীর্তি প্রকাশ্যে যাতে না আসে তাই এই ব্যবস্থা’, পিএসি'র চেয়ারম্যান পদে মুকুলের নাম ঘোষণায় কটাক্ষ দিলীপের

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ বেশ কিছুদিন ধরেই বিধানসভায় পাবলিক অ্যাকাউন্ট কমিটির চেয়ারম্যান পদ নিয়ে উত্তাল ছিল রাজ্য-রাজনীতি। শুক্রবার শেষ পর্যন্ত এই পদের জন্য নাম ঘোষণা করা হয় মুকুল রায়ের। আর তাঁর নাম ঘোষণা হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে বিজেপি।

তবে, আগেই এই পদের জন্য মুকুল রায় মনোনয়ন পেশ করতেই, বিজেপি শিবির থেকে তার বিরোধিতা করা হয়েছিল। এই পদের জন্য সাধারণত বিরোধী পক্ষের বিধায়কই নির্বাচিত হয়ে থাকেন। কিন্তু মুকুল রায় সদ্য বিজেপি ছেড়ে প্রকাশ্যে সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূল যোগ দিয়েছিলেন। এদিকে তিনি বিজেপির বিধায়ক পদও ত্যাগ করেননি। তাই গেরুয়া শিবির থেকে এই পদের জন্য তাঁর নাম ঘোষণা হতেই বিরোধিতা করা হয়। তাঁর বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে ইতিমধ্যেই অধ্যক্ষকে চিঠিও দেওয়া হয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার এই পদের জন্য তাঁর নাম ঘোষণা হতেই, ক্ষোভ উগরে দেন বিজেপির বিধায়করা। এবার সেই ইস্যুতেই মুখ খুললেন, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি সরাসরি দাবি করেছেন যে, সরকার ও বিরোধী দুই তরফের ভুমিকাই পালন করতে চাইছে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি তিনি এও অভিযোগ করেন যে, সরকার তার সব কেলেঙ্কারির অভিযোগ চাপা দিতেই, এই ব্যবস্থা নিয়েছে।

শনিবার অর্থাৎ আজ সকালে সংবাদমাধ্যমের সামনে এই ইস্যুতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন যে, ‘সরকার সব ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখতে চাইছে। যাতে কেউ কোনও প্রশ্ন তুলতে না পারে। সেই জন্যই এই ব্যবস্থা। সরকার ও বিরোধী দুই ভূমিকাই পালন করতে চাইছেন। সরকারের কুকীর্তি যাতে সামনে না আসে, তার জন্যই এই ব্যবস্থা।’ পিএসি-এর চেয়ারম্যান পদে মুকুলের নাম ঘোষণার প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন যে, ‘এতদিন বিরোধীরা যে নাম পাঠাত, সেখান থেকেই চেয়ারম্যান করা হত। আমরা যে নাম পাঠিয়েছি, তার থেকে করা হয়নি। সরকার আমাদের সহযোগিতা চায় না। তাই বিরোধীর ভূমিকা আমরা ভালোভাবে পালন করব।’

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শুক্রবার এতদিনের সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্ট কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে মুকুল রায়ের নাম ঘোষণা করেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বিষয়কে কেন্দ্র করে যে, বিজেপি সংঘাতের পথে যেতে পারে, তা আগেই থেকেই স্পষ্ট ছিল। ওই ঘোষণার পর শাসকদলকে সরাসরি আক্রমণ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সাংবাদিক বৈঠক করে বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘ক্ষমতার বলে পরিষদীয় রীতি-নীতি ভাঙলেন অধ্যক্ষ।’ শুভেন্দু আরও জানিয়েছেন, বিধানসভার কোনও কমিটিও নিচ্ছে না বিজেপি। তৃণমূল যত পারে ক্ষমতা ভোগ করে নিক। এটাই ‘ওদের’ শেষ টার্ম বলে দাবি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর।

তিনি আরও বলেছেন, ‘সরকারের যেমন খরচ করার অধিকার আছে, ঠিক তেমনই বিরোধীদেরও অধিকার আছে, সেই খরচের হিসেব খতিয়ে দেখার। সেই মতো রাজ্যের খরচ খতিয়ে দেখে বিরোধীরা। কিন্তু এই প্রথম কোনও গণতন্ত্রে বিরোধীদের সঙ্গে এমনটা হচ্ছে, যেখানে বিরোধীদের পক্ষ থেকে পিএসির চেয়ারম্যান করা হচ্ছে না।’