
গ্রামে নেই কোনও স্কুল। কাছাকাছির মধ্যে যে স্কুল অবস্থিত তাও কয়েক কিলোমিটার দূরে। ফলে পায়ে হেঁটে অতদূরের পথ অতিক্রম করেই স্কুলে যেতে হতো গ্রামের মেয়েদের। সমস্যার সমাধানে এগিয়ে এলেন গ্রামেরই এক প্রবীণ চিকিৎসক। নিজের PF-এর টাকা জমিয়ে কিনে ফেললেন আস্ত এক বাস। তা উপহার দিলেন গ্রামের পড়ুয়া মেয়েদের। যাতে সেই বাসে চেপেই স্কুলে যাতায়াত করতে পারে তারা। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ভাইরাল এই মানবিক উদ্যোগের কাহিনী৷ রাজস্থানের সহানুভূতিশীল সেই চিকিৎসকের প্রশংসায় এখন পঞ্চমুখ আপামর নেটজনতা।
সূত্রের খবর, রাজস্থানের কোটপুটলির বাসিন্দা ৬১ বছরের বর্ষীয়ান স্থানীয় চিকিৎসক আর পি যাদব। তিনি দেখেছিলেন যাতায়াতের কোনও তেমন ব্যবস্থা না থাকায়, পায়ে হেঁটেই স্কুল কলেজ যেতে হতো গ্রামের মেয়েদের। এরপরই সিদ্ধান্ত নেন যেভাবেই হোক মেয়েদের সাহায্য করবেন তিনি। যেমন ভাবা, তেমনই কাজ! উপায়ও পেয়ে গেলেন। নিজের PF-এর ১৯ লক্ষ টাকা দিয়ে আস্ত একটা বাসই কিনে ফেললেন তিনি। যাতায়াতের জন্য তা দান করলেন গ্রামের মেয়েদের।
कोटपुतली राजस्थान के 61 वर्षीय डॉ. आर.पी. यादव ने महसूस किया कि उनके गांव और आसपास की लड़कियों को पब्लिक ट्रांसपोर्ट के अभाव में कई कि.मी. पैदल चलकर स्कूल-कॉलेज जाना पड़ता था.
यह देखकर उन्होंने अपने प्रॉविडेंट फंड से 19 लाख रुपए निकाले और लड़कियों को उनकी खुद की एक बस ख़रीद दी. pic.twitter.com/cZUkfbqgKf
— Awanish Sharan (@AwanishSharan) March 11, 2021
চিকিৎসক আর পি যাদবের এই মানবিকতায় যেমন মুগ্ধ গ্রামের মানুষজন তেমনই নেটমাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়েছে প্রশংসা। সম্প্রতি অবনীশ স্মরণ নামের এক আইএএস অফিসার ট্যুইটারে বিষয়টি জানিয়েছেন। তারপরই নেটজনতা কুর্নিশ জানিয়েছেন সেই চিকিৎসককে। ইতিমধ্যেই টুইটটিতে লাইকের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৫ হাজার। সেটি শেয়ারও হয়েছে ৪ হাজারের বেশি।
অবশ্য শুধু নেটজগতই নয়, প্রবীণ চিকিৎসকটির খ্যাতিতে এখন মুখরিত সারা দেশও। প্রায় সকলেরই মত, এমন মানুষের জন্যই দেশের অর্ধেক সমস্যা সমাধান হয়ে যেতে পারে। তিনি যে সত্যিকারের এক ‘দেশভক্ত’, এ মন্তব্যও তুলে ধরেছেন অনেকে। প্রবীণ এই চিকিৎসকের উদ্দেশ্যে নতজানু হয়ে প্রণামও জানিয়েছেন তাঁরা।