শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্পের কর্মসূচিতে সবার প্রথমে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’! দ্বিতীয় স্থানে ‘স্বাস্থ্যসাথী’

০৪:২৪ পিএম, আগস্ট ২৮, ২০২১

‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্পের কর্মসূচিতে সবার প্রথমে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’! দ্বিতীয় স্থানে ‘স্বাস্থ্যসাথী’

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ দুটোই রাজ্য সরকারের জনপ্রিয় প্রকল্প। তবে, জনপ্রিয়তার নিরিখে প্রথম দফার চিত্রটার সঙ্গে ব্যাপক পার্থক্য তৈরি হয়েছে দ্বিতীয় দফায়। রাজ্যে প্রথম দফায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচিতে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পকে ঘিরে মানুষের মধ্যে উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। বেশির ভাগ মানুষই দুয়ারে সরকারের প্রথম দফায় স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন।

এর পর দ্বিতীয় দফায় রাজ্য সরকারের দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে চাহিদার নিরিখে চিত্রটায় পরিবর্তন এসেছে। জনপ্রিয়তার নিরিখে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পকে ছাপিয়ে গেছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। প্রথম স্থানে উঠে এসেছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প আর দ্বিতীয় স্থানে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প।

প্রশাসনিক সূত্রের খবর, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আবেদন জমা পড়েছে ৯৪.৩০ লক্ষ মানুষের। আর স্বাস্থ্যসাথীতে এই সংখ্যা অন্তত ২৬.১৬ লক্ষ। প্রথম দুয়ারে সরকার কর্মসূচির পরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, আবেদনকারীদের মধ্যে অন্তত ৮৫.১৩ লক্ষ মানুষ স্বাস্থ্যসাথী কার্ড চেয়ে আবেদন করেছিলেন।

এদিকে, জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, গতবার আবেদন করেও যেসব উপভোক্তা কার্ড পাননি অথবা যাঁদের কার্ডে সংশোধন করার প্রয়োজন রয়েছে, তাঁরা এবার স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের জন্য বিভিন্ন শিবিরে যোগাযোগ করেছেন। সংশ্লিষ্ট মহলের কর্তাদের বক্তব্য অনুযায়ী, লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে নথিভুক্ত হওয়ার অন্যতম মাধ্যম স্বাস্থ্যসাথী। তাই স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের জন্যও এবার আগ্রহ ব্যাপক।

সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের ক্ষেত্রে উপভোক্তা-সংখ্যার নিরিখে প্রথম পাঁচ জেলার মধ্যে রয়েছে- দক্ষিণ ২৪ পরগনা (৩.১১ লক্ষ), মুর্শিদাবাদ (২.২৩ লক্ষ), উত্তর ২৪ পরগনা (২.০৪ লক্ষ), পূর্ব মেদিনীপুর (১.৭১ লক্ষ) এবং নদিয়া (১.৫৫ লক্ষ)।

তবে, এও জানা গিয়েছে যে, পরিষেবা দেওয়ার দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা। ১৬ আগস্ট থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ওই জেলায় ৫৩ হাজারের কিছু বেশি উপভোক্তাকে পরিষেবা দেওয়া হয়েছে। তার পরেই আছে দক্ষিণ ২৪ পরগণা (৪৪ হাজার), উত্তর ২৪ পরগণা ও হুগলি (৩৭ হাজার) এবং হাওড়া (৩০ হাজার)।