নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ে চোট পাওয়ার ঘটনায় পূর্ব মেদিনীপুরের প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট তলব করল নির্বাচন কমিশন। ঘটনায় ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেছেন তিনি।
ভোটের প্রচারে গিয়ে নন্দীগ্রামে পায়ে গুরুতর চোট পান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গোটা ঘটনায় জেলা প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট তলব করল নির্বাচন কমিশন। সেখানে কী ঘটেছে ও নিরাপত্তার বন্দোবস্ত নিয়ে বিস্তারিত জানতে চাওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, পুরো ঘটনার বিস্তারিত রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব ও বিশেষ নির্বাচনী পর্যবেক্ষক অজয় নায়েক ও বিবেক দুবের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, নন্দীগ্রামে বিরুলিয়ার মন্দির থেকে বেরোনোর সময় ইচ্ছাকৃতভাবে ষড়যন্ত্র করে ৪-৫ জন তাকে ধাক্কা দেয়। এমনকি স্থানীয় পুলিশও সেই সময় ছিল না বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। যার জেরে গাড়িতে ওঠার সময় দরজায় পায়ে চোট পান তিনি। সাধারনত চালকের পাশের আসনে বরাবর বসেন মুখ্যমন্ত্রী। অসুস্থ বোধ করায় চালকের পাশের আসনে বসিয়ে মাঝপথে গাড়ি থামিয়ে মাঝে আসনে তাঁকে শুইয়ে গ্রিন করিডোর করে কলকাতার পথে নিয়ে আসা হয়। এরপর,নন্দীগ্রাম থেকে সরাসরি এস এস কে এম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ড এর কেবিনে ভর্তি করা হয় মুখ্যমন্ত্রীকে। ৩ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয় তাঁর জন্য। করা হয় এম আর আই।
এই ঘটনাকে 'সহানুভূতির রাজনীতি' বলে অভিহিত করেছেন বিজেপি নেতারা। কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংঘর্ষ করেছেন, এটা অনস্বীকার্য। ক্ষমতায় আসার পর নন্দীগ্রামকে দেখেননি। শিল্পায়ন হয়নি। কৃষিতে উন্নয়ন হয়নি। নন্দীগ্রাম বঞ্চিত থেকেছে। শুভেন্দু অধিকারী সেখানকার ভূমিপুত্র। ওখানে মমতা হারবেন। বুঝতে পেরেছেন, ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আসলে সহানুভূতি ছাড়া উনি জিততে পারবেন না। বাংলার কোনও রাজনৈতিক দলের কর্মীর তাঁর উপরে আঘাত করার হিম্মত নেই।'