শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

প্রস্তুত রাজ্য, ভবানীপুর-সহ ৭ কেন্দ্রে উপনির্বাচন নির্ধারিত সময়েই! এমনই ইঙ্গিত নির্বাচন কমিশনের

০৯:২৪ পিএম, জুলাই ২, ২০২১

প্রস্তুত রাজ্য, ভবানীপুর-সহ ৭ কেন্দ্রে উপনির্বাচন নির্ধারিত সময়েই! এমনই ইঙ্গিত নির্বাচন কমিশনের

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ প্রতিদিন রাজ্যের করোনা পরিস্থিতির একটু একটু করে উন্নতি হচ্ছে। ক্রমশ সুস্থতার পথে এগোচ্ছে বাংলা। কড়া বিধিনিষেধ জারির সুফল মিলছে ক্রমশ। রাজ্যে জারি থাকা করোনাবিধির মধ্যেই ক্রমশ ছন্দে ফিরছে বাংলা। তাই এই মুহূর্তে রাজ্যে উপনির্বাচন করার পরিবেশ ফিরে এসেছে। বাংলায় রাজ্যসভার উপনির্বাচন করা যাবে কিনা, তা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের প্রশ্নের জবাবে এমনই জানিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। তেমনটাই সূত্রের খবর।

পাশাপাশি যে ৭ টি কেন্দ্রে উপনির্বাচন বাকি রয়েছে, তাও এই মুহূর্তে করা যাবে বলেই জানানো হয়েছে, রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, রাজ্যে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসায় ভবানীপুর-সহ ৭ কেন্দ্রে উপনির্বাচন করানো সম্ভব।

জানা গিয়েছে, রাজ্যসভার ২ আসনে নির্বাচন নিয়ে রাজ্যের মত জানতে চায় নির্বাচন কমিশন। মানস ভুঁইয়া ও দীনেশ ত্রিবেদী ইস্তফা দেওয়ায় রাজ্যসভার ২ আসন ফাঁকা এই মুহূর্তে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, বিধানসভা সচল থাকায়, দ্রুত ভোট করানো যাবে। এর পাশাপাশি ৭ টি কেন্দ্রে দ্রুত উপনির্বাচন করার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে রাজ্যের তরফে। নবান্ন সূত্রে খবর, নির্বাচন করা নিয়ে রাজ্যের প্রস্তাবে সবুজ সংকেত দিয়েছে কমিশন। তাই নির্ধারিত ৬ মাসের মধ্যেই উপনির্বাচন হতে চলেছে। উল্লেখ্য, গত মাসের ২৩ তারিখ সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘অনেকগুলি কেন্দ্রে বাকি উপনির্বাচন। আমরা চাইব উপনির্বাচন দ্রুত হয়ে যাক। প্রচারের জন্য ৭ দিন সময় দেওয়া হোক। সকাল ১০ টা থেকে ৭ টা পর্যন্ত প্রচারের সময় দিলেই হবে।’

এদিকে, করোনা আবহে রাজ্যে উপনির্বাচন চায় না বলেই জানিয়েছিলেন, বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু। সায়ন্তন বসু করোনা আবহে উপনির্বাচনের বিরোধিতা করলেও, বিজেপির কর্মসমিতির বৈঠকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ উপনির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থীদের মৃত্যু হওয়ায়, মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর ও সামসেরগঞ্জে ভোটগ্রহণ স্থগিত হয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায়, এই কেন্দ্রে আর ভোট হয়নি। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে আরও ৫টি কেন্দ্র- দিনহাটা, ভবানীপুর, খড়দহ, শান্তিপুর ও গোসাবা। আবার ভবানীপুরে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য ওই কেন্দ্রটি তিনি ছেড়েছেন বলেই তৃণমূল সূত্রের খবর। নন্দীগ্রামে পরাজিত হওয়ায়, নভেম্বরের মধ্যে উপনির্বাচনে জিতে আসতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

এছাড়া রাজ্যসভার দুটি আসনেও আবার ভোট করাতে হবে। দুই সাংসদ মানস ভুঁইঞা এবং দীনেশ ত্রিবেদীর আসন ফাঁকা। প্রথমজন বিধানসভা ভোটে দাঁড়িয়ে এবং জিতে এখন রাজ্যের মন্ত্রী। আর দীনেশ ত্রিবেদী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় তাঁর আসনটিও ফাকা রয়েছে। বিধানসভার ৭ টি এবং রাজ্যসভার ২ টি আসনে উপনির্বাচন দ্রুত চেয়ে, সম্প্রতি দিল্লি নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে। সেই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতেই কমিশন জানতে চেয়েছিল যে, রাজ্যে ভোট করানোর পরিবেশ আছে কিনা। যার উত্তর ইতিমধ্যেই দিয়েছে রাজ্য সরকার। তাই রাজনৈতিক মহলের ধারণা, দ্রুতই রাজ্যে উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে যাবতীয় জট খুলতে চলেছে।