শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

করোনাকালে নির্বাচন এবং উপনির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে রাজনৈতিক দলগুলি? জানতে চাইল নির্বাচন কমিশন

০৪:২৫ পিএম, আগস্ট ১২, ২০২১

করোনাকালে নির্বাচন এবং উপনির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে রাজনৈতিক দলগুলি? জানতে চাইল নির্বাচন কমিশন

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ করোনা আবহে, বাংলা-সহ ৫ রাজ্যের বিভিন্ন কেন্দ্র উপনির্বাচন এবং তার পাশাপাশি নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে রাজনৈতিক দলগুলি? কীভাবে আয়োজন করা সম্ভব? ৫ রাজ্যের রাজনৈতিক দলগুলির কাছে সে বিষয়ে চিঠি দিয়ে, তাদের মতামত জানতে চাইল নির্বাচন কমিশন। আগামী ৩০ আগস্টের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলিকে নিজেদের মতামত জানানোর কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি করোনাবিধি নিয়ে বেশ কিছু গাইডলাইন ইতিমধ্যেই নিজেদের ওয়েবসাইটে আপলোড করেছে কমিশন। সেই নির্দেশিকার ভিত্তিতে রাজনৈতিক দলগুলিকে তাঁদের মতামত জানাতে বলা হয়েছে। আবার একইসঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলির কাছে কমিশনের অতিমারী সংক্রান্ত গাইডলাইন নিয়ে মতামতও চেয়ে পাঠানো হয়েছে। কমিশন জানিয়েছে, মতামত নিয়ে প্রয়োজনে তৈরি হবে নতুন গাইডলাইন।

কমিশনের এই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, করোনা আবহে ভোট নিয়ে, বেশকিছু বিধি রয়েছে। সেই বিধি সম্পর্কে রাজনৈতিক দলগুলির কাছে মতামত চাওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে আরও একটা গাইডলাইন তৈরি করা হতে পারে। বাংলা-সহ ৫ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে করোনাবিধি মানা নিয়ে বিতর্কের শেষ ছিল না। রাজনৈতিক দলগুলির পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে আদালত। কলকাতা হাইকোর্ট এবং মাদ্রাজ হাইকোর্ট কমিশনকে কটাক্ষ করতেও ছাড়েনি। আর তাই রাজ্যের উপনির্বাচনে বাড়তি সতর্কতা নিতে চায় নির্বাচন কমিশন। এবারে করোনাবিধি মানার বিষয়ে আরও কড়া নজরদারির ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনওরকম খামতি বরদাস্ত কড়া হবে না বলেই সূত্রের খবর।

এদিকে রাজ্যে ৫ কেন্দ্রের উপনির্বাচন এবং দুই কেন্দ্রের নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর লেগেই রয়েছে। রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস ইতিমধ্যেই উপনির্বাচনের দাবিতে কমিশনের উপর চাপ বাড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যে উপনির্বাচনের দাবিতে কমিশনের দফতরে গিয়ে দেখাও করেছে শাসকদল। তবে, ঠিক কবে হবে নির্বাচন, তাও এখনও স্পষ্ট নয়।

সূত্রের খবর, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসতেই নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে কমিশন। জানা গিয়েছে, করোনা পরিস্থিতি আর খারাপ দিকে যাবে না, এমন বুঝলেই সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে নির্বাচন সেরে ফেলতে চাইছে নির্বাচন কমিশন। সূত্রের এও খবর যে, ইতিমধ্যেই রাজ্যের যেসব কেন্দ্রে নির্বাচন বাকি, যেমন- ভবানীপুর, খড়দহ, গোসাবা, শান্তিপুর, জঙ্গিপুর, সামশেরগঞ্জ, দিনহাটা-এই জায়গাগুলির সামগ্রিক করোনা পরিস্থিতি যাচাই করেছে নির্বাচন কমিশন। আর এবার নির্বাচন করানো নিয়ে কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না কমিশন। সেই জন্য, আইসিএমআরের গাইডলাইনগুলি নজরে রাখার পাশাপাশি কেন্দ্র ও রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখছেন কমিশন।

এদিকে, হাতে সময় কম। আর মাত্র তিন মাস বাকি। ৫ নভেম্বরের মধ্যে যে কোনও বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জিতে আসতেই হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাই রাজ্যে উপনির্বাচন নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই তাড়া রয়েছে শাসকদলের। সম্প্রতি এই বিষয়ে দিল্লিতে কমিশনের দ্বারস্থ হয় তৃণমূল। এরপর ফের রাজ্যের ৫টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন-সহ ৭ কেন্দ্রের ভোটের দাবিতে কয়েকদিন আগেই রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, শশী পাঁজা-সহ তৃণমূলের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল। রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা কমার পরিসংখ্যান দেখিয়ে, দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানায় তৃণমূল। এর আগে এ প্রসঙ্গে তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছিলেন, ১৫ জুলাই নির্বাচন কমিশনের কাছে গিয়েছিলেন দলের প্রতিনিধিরা। সেই লক্ষ্যে কাজ কতটা অগ্রসর হল এবং সাংবিধানিক নিয়ম মেনে নির্বাচন করার প্রচেষ্টার কথা সিইও-কে জানানো হয়েছে। তিনি জানিয়েছিলেন, সিইও দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, এ ব্যাপারে কাজ এগোচ্ছে।