শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

‘অপরাজিত’ ছবির মুকুটে নয়া পালক! লন্ডন ও টরেন্টো ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রদর্শিত হবে অনীক দত্তের ছবি

চৈত্রী আদক

প্রকাশিত: মে ১২, ২০২২, ০২:১৮ পিএম | আপডেট: মে ১২, ২০২২, ০৮:১৮ পিএম

‘অপরাজিত’ ছবির মুকুটে নয়া পালক! লন্ডন ও টরেন্টো ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রদর্শিত হবে অনীক দত্তের ছবি
‘অপরাজিত’ ছবির মুকুটে নয়া পালক! লন্ডন ও টরেন্টো ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রদর্শিত হবে অনীক দত্তের ছবি

বংনিউজ২৪×৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ আগামীকাল অর্থাৎ ১৩ মে গোটা দেশজুড়ে মুক্তি পেতে চলেছে অনীক দত্ত পরিচালিত ছবি ‘অপরাজিত’। কেবল দেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রইল না ‘অপরাজিত’। এই ছবির মুকুটে উঠল নয়া পালক। দেশ ছেড়ে বিদেশে পাড়ি দিল অনীক দত্তের এই ছবি। জানা গিয়েছে, ‘লন্ডন ইন্ডিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভাল’ ও ‘টরেন্টো ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল’-এ প্রদর্শিত হবে ‘অপরাজিত’। দেশজুড়ে মুক্তির আগেই এমনটাই সুখবর মিলল।

গত ২৩ এপ্রিল বিশ্ববরেণ্য পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের ৩০ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে প্রকাশ্যে এসেছিল ‘অপরাজিত’র ট্রেলার। এরপর সত্যজিৎ রায়ের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে গত ২ মে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের উদ্যোগে মুম্বইতে ‘অপরাজিত’র বিশেষ প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেখানে উপস্থিত থাকতে দেখা যায় ছবির পরিচালক অনীক দত্ত, প্রধান চরিত্র জিতু কামালকে। উপস্থিত ছিলেন পরিচালক শ্যাম বেনেগালও।

কিংবদন্তি পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের ‘পথের পাঁচালী’র মত অনবদ্য সৃষ্টির নেপথ্যের কাহিনীই ফুটে উঠবে অনীকের ‘অপরাজিত’ ছবিতে। এই ছবিতে ‘পথের পাঁচালী’র নাম পরিবর্তন করে ‘পথের পদাবলী’ নামে দেখানো হয়েছে। ছবির মূল চরিত্র জিতু কামাল-এর নাম সত্যজিৎ রায়ের পরিবর্তে অপরাজিতা রায় রাখা হয়েছে। এছাড়াও‘অপরাজিত’-তে সত্যজিৎ রায়ের স্ত্রীর একটি বড় ভূমিকা তুলে ধরা হয়েছে। পরিচালকের স্ত্রী বিজয়া রায়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন সায়নী ঘোষ। ছবিতে তাঁর নাম বিমলা রায়।

১৯৫৫ সালে মুক্তি পেয়েছিল সত্যজিৎ রায় পরিচালিত মাস্টারপিস ‘পথের পাঁচালী’। তবে এই ছবি মুক্তি পাওয়া এবং জনপ্রিয়তা লাভ করার নেপথ্যে রয়েছে দীর্ঘ লড়াইয়ের গল্প। ‘পথের পাঁচালী’ তৈরি করতে গিয়ে হাজারও কাঠ-খড় পোড়াতে হয়েছে সত্যজিৎ রায়কে। ছবিতে নামকরা নায়ক-নায়িকা, নাচ-গান না থাকার দরুন প্রযোজকরা এই সিনেমার পেছনে টাকা বিনিয়োগ করতে নারাজ ছিলেন। এমনকি অনেকে এই ছবিতে দু-একটা গান জুড়ে দেওয়ার পরামর্শও দিয়েছিলেন।

যদিও এসব কিছুই বাধা দিতে পারেনি সত্যজিৎ রায়কে। কোনও কিছুতে কর্ণপাত না করে তিনি সামনের দিকে এগিয়ে গিয়েছেন আপন খেয়ালে। একসময় কিস্তিতেও ছবির শুটিং করতে হয় তাঁকে। পরে অবশ্য সরকারি সাহায্য মেলে। জানা যায়, সেই সময় সত্যজিৎ রায়কে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছিলেন বিধানচন্দ্র রায়। তাঁর কঠিন লড়াইয়ে প্রতিমুহূর্তে সত্যজিতের পাশে ছিলেন স্ত্রী বিজয়া রায়। এই লড়াইয়ের কথা বহু পত্রপত্রিকায় ছাপা হয়েছে। এবার সেই ঘটনাই রুপালি পর্দায় ভেসে উঠবে। ছবিতে জিতু কামাল ও সায়নী ঘোষ ছাড়াও অনুষা বিশ্বনাথন, অঞ্জনা বসু, পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, বরুণ চন্দ, অনসূয়া মজুমদারের মতো প্রতিভাবান অভিনেতাদের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাবে।