বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

ফের প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য! পল্লবীর মতই ভয়াবহ পরিণতির শিকার হন সাগ্নিকের ‘প্রাক্তন প্রেমিকা’

চৈত্রী আদক

প্রকাশিত: মে ১৮, ২০২২, ০৬:২১ পিএম | আপডেট: মে ১৯, ২০২২, ০২:৫৯ এএম

ফের প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য! পল্লবীর মতই ভয়াবহ পরিণতির শিকার হন সাগ্নিকের ‘প্রাক্তন প্রেমিকা’
ফের প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য! পল্লবীর মতই ভয়াবহ পরিণতির শিকার হন সাগ্নিকের ‘প্রাক্তন প্রেমিকা’

বংনিউজ২৪×৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ টলি অভিনেত্রী পল্লবী দে’র মৃত্যুরহস্যের গভীরে যতই প্রবেশ করা হচ্ছে ততই প্রকাশ্যে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। অভিনেত্রীর মৃত্যুর দিন থেকেই সন্দেহের তীর পল্লবীর প্রেমিক তথা লিভ-ইন পার্টনার সাগ্নিক চক্রবর্তীর দিকেই ছিল। এছাড়াও সাগ্নিক ও পল্লবী সম্পর্কের মাঝে তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে উঠে এসেছিল পল্লবীর ‘ঘনিষ্ঠ বন্ধু’ ঐন্দ্রিলার নাম। পল্লবী সত্যিই আত্মহত্যা করেছেন নাকি খুন হয়েছেন এই নিয়ে কাটাছেঁড়া এখনও অব্যাহত। এরই মাঝে ফের প্রকাশ্যে এলো আরও একজনের নাম।

পল্লবীই প্রথম নন, এর আগে সাগ্নিকের আরও এক প্রেমিকা আত্মহত্যা করেছিলেন। নবম শ্রেণীতে পড়াকালীন হাওড়া জগাছার বাসিন্দা সাগ্নিক প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী সৌমি মন্ডলের সঙ্গে। সৌমিও হাওড়া জগাছা এলাকাতেই থাকতেন। দুজনেই পড়তেন হাওড়ার ফোর্ট উইলিয়াম সেন্ট্রাল স্কুলে। সেখান থেকেই প্রেমের শুরু। তাঁদের সম্পর্ক চলেছিল প্রায় চার বছর।

বুধবার এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন সৌমি মন্ডলের বাবা অজয় কুমার মন্ডল। তিনি জানিয়েছেন, সাগ্নিক অত্যন্ত বিত্তবান পরিবারের ছেলে। তাঁর সঙ্গে সৌমির সম্পর্ক একেবারেই মেনে নিতে পারেননি তিনি। এই বিষয়ে মেয়েকে বহুবার সাবধানও করেছিলেন। কিন্তু সৌমি তা অগ্রাহ্য করেন। এরপর ২০১৪ সালের ১৮ মার্চ ঘর থেকে উদ্ধার হয় সৌমির ঝুলন্ত দেহ।

সৌমির পরিবারের অভিযোগ, একমাত্র সাগ্নিকের কারণেই তাঁদের মেয়ে আত্মহননের পথ বেছে নেয়। এই বিষয়ে জগাছা থানার দ্বারস্থও হয়েছিলেন সৌমির বাবা-মা। কিন্তু লাভের লাভ কিছুই হয়নি। পারিবারিক প্রভাবের জোরে বেঁচে যান সাগ্নিক। সৌমির বাবা-মা এও জানান, সেই সময় থেকে সাগ্নিকের সঙ্গে ঐন্দ্রিলারও যোগাযোগ ছিল। তাই সাগ্নিকের সঙ্গে যোগাযোগ প্রসঙ্গে পুলিশকে দেওয়া ঐন্দ্রিলার বয়ান সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে মনে করেছেন তাঁরা।

প্রসঙ্গত, পল্লবীর রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় অভিনেত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে করা লিখিত অভিযোগের উপর ভিত্তি করে মঙ্গলবারই সাগ্নিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ৩০২, ১২০বি, ৪২০, ৪০৩, ৪০৬, ৩৪১ এবং ৩২৩ ধারায় মামলা রুজু করা হয়। অর্থাৎ খুন, ষড়যন্ত্র, প্রতারণা, জিনিস চুরি, বিশ্বাস ভঙ্গ, আটকে রাখা ও মারধরের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় সাগ্নিককে। বুধবার সকালে ধৃতকে আলিপুর আদালতে পেশ করা হয়। আগামী ২৬ মে পর্যন্ত তাঁকে পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।