শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

বিয়ের কথা নিজের বাড়িতে জানাতে পারেননি সচিন, দায়িত্বভার ওঠে অঞ্জলির কাঁধেই! কিন্তু কেন?

চৈত্রী আদক

প্রকাশিত: এপ্রিল ২৫, ২০২২, ০৭:৪৪ এএম | আপডেট: এপ্রিল ২৫, ২০২২, ০১:৪৪ পিএম

বিয়ের কথা নিজের বাড়িতে জানাতে পারেননি সচিন, দায়িত্বভার ওঠে অঞ্জলির কাঁধেই! কিন্তু কেন?
বিয়ের কথা নিজের বাড়িতে জানাতে পারেননি সচিন, দায়িত্বভার ওঠে অঞ্জলির কাঁধেই! কিন্তু কেন?

বংনিউজ২৪×৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ বিশ্ববন্দিত ভারতরত্ন প্রাপক সচিন রমেশ তেন্দুলকার-কে ক্রিকেটের ময়দানে ভগবান বলে গণ্য করা হয়। ২২ গজে এই দাপুটে ক্রিকেটার তৈরি করেছেন একের পর এক রেকর্ড। তিনি এমনই একজন খেলোয়াড় যিনি গোটা বিশ্বে ক্রিকেটকে এক অন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছেন। তাঁর বর্ণাঢ্য ক্রিকেট কেরিয়ারে যেমন নানান বর্ণময় গল্প রয়েছে তেমনই তাঁর বিবাহিত জীবনেও রয়েছে অসংখ্য টুইস্ট।

সালটা ১৯৯০। কিংবদন্তি ক্রিকেটার আন্তর্জাতিক সফর সেরে সবে ভারতবর্ষে পা রেখেছেন। ফেরার পথে বিমানবন্দরেই তাঁর প্রথম সাক্ষাৎ হয় অঞ্জলির সঙ্গে। এরপর টানা ৫ বছরের প্রেমপর্ব। এরপর দুজনেই যখন তাঁদের সম্পর্কে সিলমোহর দেওয়ার জন্য প্রস্তুত তখনই ঘটে এক মজার ঘটনা। যে সাহসী ক্রিকেটার বাইশ গজে যে কোনও বোলারকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিতে পারতেন, যাঁর ব্যাটিংয়ে নিমেষের মধ্যে বল বাউন্ডারি লাইন পেরিয়ে যেত, যাঁর সাহসে রীতিমতো মোহিত হয়েছিল সমগ্র ক্রিকেট দুনিয়া সেই সচিন তেন্দুলকারই নাকি নিজের বিয়ের কথা বাড়িতে জানাতে পিছপা হয়েছিলেন। তার দায়িত্ব নিতে হয়েছিল শচীন-অর্ধাঙ্গিনী অঞ্জলিকেই।

নিজের বিয়ের কথা পরিবারকে কেন জানাতে পারেননি সচিন? গ্রাহাম বেনসিঙ্গারের (Graham Bensinger) ইউটিউব চ্যানেলে সচিন জানান, ১৯৯৪ সালে ভারতীয় ক্রিকেট টিম টুর্নামেন্টের জন্য নিউজিল্যান্ডে ছিল। অকল্যান্ডে একটা ভালো ইনিংস খেলার পর ওয়েলিংটনেও সচিনের পারফরম্যান্স নজর কেড়েছিল সকলের। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর মনও বেশ ভালো ছিল। সেই সময়ে অঞ্জলি এসে তাঁকে জানান, সাত পাকে বাঁধা পড়ার শুভ সময় আসন্ন। এবার তাঁদের বিয়েটা সেরে ফেলা উচিত। অঞ্জলির প্রস্তাবে রাজিও হন তিনি।

সচিন আরও বলেন, “অঞ্জলি শুনে বলেছিল যে, তার জন্য আমাকে বাড়ির লোকের সঙ্গে কথা বলতে হবে। ও ওর বাড়িতে কথা বলবে। আমি অঞ্জলিকে বলেছিলাম, দুঃখিত, তোমাকেই দায়িত্ব নিয়ে দুই বাড়িতে কথা বলতে হবে। নাহলে আমি বাড়ি ফিরব না। আমার বাবা-মার সঙ্গে এই নিয়ে কোনও কথা বলতে পারব না।”

সবার মনেই প্রশ্ন জেগেছিল, এ আর এমন কী ব্যাপার? নিজের বাড়িতে বিয়ের কথা কেন বলতে চাননি সচিন? এই প্রশ্নের উত্তরও ওই শো-তেই তিনি দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, “আমার কেমন একটা অস্বস্তি হয়েছিল। যদিও আমার বাড়িতে অঞ্জলিকে চিনত। ও আমার বাড়িতে এসেছিল। তবুও আমার কেমন একটা অনুভূতি হয়েছিল। আমি অঞ্জলিকে বলেছিলাম, ওকেই দু‍‍`টো দিক ম্যানেজ করতে হবে। যদি কালকে বলো তো, আমি কালই বিয়ে করতে রাজি আছি। অঞ্জলি দুই বাড়িতে কথা বলেছিল।” এরপর দুই বাড়ির সম্মতিতেই ১৯৯৫ সালে শুভ পরিণয় সুসম্পন্ন হয় সচিন ও অঞ্জলীর।