বংনিউজ২৪×৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ অভিনেত্রী পল্লবী দে’র মৃত্যুর পর থেকেই আতসকাঁচের তলায় তাঁর প্রেমিক সাগ্নিক চক্রবর্তী। তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন পল্লবীর পরিবারের সদস্যরা। আবারও এক অভিযোগের তীর সাগ্নিকের দিকে। পল্লবীর পরিবারের দাবি, আর্থিক দিক থেকে পল্লবীর ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল ছিলেন সাগ্নিক। বহুবার নিজের প্রয়োজনে পল্লবীর থেকে টাকা ধার নিয়েছেন তাঁর লিভ-ইন পার্টনার সাগ্নিক চক্রবর্তী।
অভিনেত্রীর পরিবারের দাবি, নিউটাউনে সাগ্নিকের যে ফ্ল্যাটটি রয়েছে সেটির দাম ৮০ লক্ষ টাকা। এই ফ্ল্যাটটি কিনতেও পল্লবীর থেকে টাকা নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ফ্ল্যাটের মালিক হিসেবে পল্লবীর নাম নেই। ফ্ল্যাটটি সাগ্নিক ও তাঁর বাবার নামে রয়েছে। পল্লবীর থেকে আর্থিক সাহায্য নিয়ে সাগ্নিক একটি দামি গাড়িও কেনেন। আর্থিক বিষয় নিয়ে তাঁদের মধ্যে প্রায়শই মতবিরোধ লেগে থাকত বলে অভিযোগ মৃত অভিনেত্রীর পরিবারের।
এই প্রসঙ্গে পল্লবির মাসি সংঘমিত্রা ভট্টাচার্য জানান, পল্লবীর মৃত্যুর পর তাঁরা জানতে পারেন, পল্লবীর সঙ্গে সাগ্নিকের একাধিক জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট ছিল। সব অ্যাকাউন্ট মিলিয়ে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার ফিক্সড ডিপোজিট রয়েছে। কিন্তু পুলিশের জেরায় এই বিষয়ে সাগ্নিক একেবারেই নিরুত্তর। সাগ্নিকের পরিবারের পক্ষ থেকেও এই প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করতে দেখা যায়নি।
সংঘমিত্রা জানিয়েছেন, পল্লবীর বাড়ির পরিচারিকা সূত্রে তিনি খবর পান, বিগত কয়েক মাস ধরে আর্থিক সমস্যায় ভুগছিলেন পল্লবী। পল্লবীর বাড়িতে যিনি পরিচারিকার কাজ করতেন তাঁর সন্ধান দিয়েছিলেন পল্লবীর মাসি সংঘমিত্রাই। ওই পরিচারিকাই তাঁকে জানান, প্রায়শই আর্থিক বিষয় নিয়ে পল্লবী ও সাগ্নিকের মধ্যে অশান্তি লেগেই থাকত। এমনকি সেই অশান্তি মাঝে মধ্যে চরম আকারও ধারণ করত।
প্রসঙ্গত, গড়ফার ফ্ল্যাটে স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে একসঙ্গে থাকতেন পল্লবী ও সাগ্নিক। পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার রাত থেকেই তাঁদের মধ্যে বচসা শুরু হয়। রবিবার সকালেও তা অব্যাহত থাকে। এদিন সিগারেট খেতে সাগ্নিক বাইরে বেরোলে সেই সময় ঘরের দরজা বন্ধ করে দেন অভিনেত্রী। এরপর কিছুক্ষণের মধ্যে বাড়ি ফিরে দরজা ভেঙে পল্লবীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে সাগ্নিকই।
আপনার মতামত লিখুন :